সকালের অগভীর ঘুম গুলো , মনে হয় আমার মত’ই চিরকর্মা
এই যান্ত্রিক শহরের, বাসের পিপ-পিপ শব্ধ বা ট্রেনের হুইসেলে যখন ঘুম ভাঙ্গেনা।
তখন! জানালার ফাঁকে আসা-
ভোরের সূর্যদয়ের নগ্ন কিরণ আমাকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
ভাবি! এই সূর্যদয় ভোর গুলি নিজের জন্যই রেখে দেব,
এটাই আমার জাগতিক।
বারান্দায় ডেকের উপর দাঁড়িয়ে দেখি নিজের জগৎটাকে,
দেখি সোনালী বৃক্ষ অপেরায় বহু কমলালেবুর ফসল ফলেছে
ঘাস ফড়িং-এর মত রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে-একটি কুমারী মেয়ে।
ইট-পাথরের সাথে কথা বলে অজানা ভাষায়,
আমি প্রতিদিন দেখি তাঁকে...
সূর্য ছুটি নেয়, আলোক রশ্নি গুটিয়ে যায় নিজ ঠিকানায়।
আমার চোখে সে, নিখুঁত আভায় উজ্জ্বল হয়ে থাকে,
স্বচ্ছ এক ঝর্না হয়ে বহে যায় আমার হৃদয়ে।
সেই থেকে...
প্রতিটি ভোরের শিশির জল জমে, আমার বুকের’পরে।
আমার হৃদয়ে এক অবসাদ জমে উঠে,
হাঁটতে হাঁটতে কতবার তোমার কাছে যেতে চেয়েছি;
আমাদের কথা হত সংকেতে,পরম্পর।
তুমি বলতে...
আমি নক্ষত্র হয়ে থাকব, তোমার আকাশে-
তবে! আমাকে কখনো ছুতে যেওনা।
আমি যে হাজার নক্ষত্রের মাঝে, ক্ষয়ে যাওয়া অনুজ্জ্বল একটি নক্ষত্র।
হঠাৎ!
এক কাক ডাকা ভোরে, মাইকে একটি প্রস্থান এলান ভেসে এলো।
বারান্দার ডেকে দাঁড়িয়ে দেখি-
তোমার বাড়ির আঙ্গিনায় শত মানুষের ভিড়,
রেলিংটা ফাঁকা, ইট-পাথের রং গুলো ধূসর হয়ে আছে।
ছুটে যাই...তোমার বাড়ির আঙ্গিনায়,
কাতারে-কাতারে সবাই দাঁড়িয়ে আছে,
সামনে সাদা কাপড়ে মোড়ানো তোমার দেহ।
সবাই বলে, মরণ ব্যধি তোমাকে রেখেছিল ঘিরে,
এই দেহের ব্যাঘাতে, স্বপ্ন গুলো জমে রেখে ছিলে হৃদয়ের কোনে।
আমার স্বপ্ন নিভে যায় নদীর খাড়িতে,
এক দিন, সূর্য উদয়ের সাথে এসেছিল হৃদয় খেতে
আজ, সূর্যাস্তের মত চলে গেছে তোমার সাথে।
০৬-১১-২০১৬