প্রথম যেদিন তোমার সাথে দেখা হয়েছিল-
শামুকের মত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলে।
তার পরের দেখায় লজ্জাপতির মত লাজে একটু ঘোমটার ফাকে তাকিয়েছিলে।
লাজে লাজে একটু হেসেছিলে-
সেই থেকে আমার সমস্ত হৃদয় আনন্দে-আশায়- বুক ভরে গিয়েছে;
হৃদয়ের ডুবে যাওয়া সূর্যটা আবার উদয় হয়েছে।
তুমিও চেয়ে ছিলে সেই সূর্যের কিরণ গায়ে মাখতে
সেই থেকে দু’জনে সমুদ্রের নীল দেখা; ঝিনুকের গায়ে আল্পনা;
নদীর তরঙ্গে ভেসে ভেসে অজানা এক দ্বীপে-
সৃষ্টির উল্লাসে মেতে উঠে ছিলাম, আমরা দু’জনে।
সবুজ ঘাসের উপর বিছানা পেতে, সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারে-
আমাদের অতীত একা-কিত্ত জীবনের গল্প গুলো ব্যক্ত হয়েছিল।
তখন জেনেছিলাম, আমার মত তুমিও আমাকে চেয়ে ছিলে।
শ্বাশত রাত্রির বুকে কথা দিয়ে ছিলে-
নতুন আরেকটি গ্রহ গড়ব এই অজানা দ্বীপে।
সেই থেকে, দু’জনের চিরস্থায়ী, এক আকাশের নিচে অধিষ্ঠান করা।
সমুদ্রের বালু কনায়, একটি নক্ষত্রের জয়-
আরেকটি নক্ষত্রের প্রতীক্ষায়।
লেখাটি উৎসর্গ করলাম আমার স্ত্রী, ছেলে মাজহারুল
ইসলাম মাহিন এবং আমার অনাগত সন্তানকে।
০২/০৭/২০১৫