এ মাতৃকায় প্রথম ৩শ ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধার লেখা একত্র করে "বিজয় কাব্য" নামক বই সম্পদনাকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি), উলিপুর কুড়িগ্রাম জনাব সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভকে শ্রদ্ধার্ঘ্য


বিজয় কাব্য!
এদেশের স্বাধীনতার পতাকা হাতে,
আপামর জনতার মিছিলে মিছিলে,
যাদের জীবন গাথা অমলিন।
সারিবদ্ধ জনতার মাঝে বুলেট,
মুক্তিকামী জনতার বাড়িতে বাড়িতে আগুন,
বন্যার পানিতে ভাসমান মায়ের হাহাকার,
তুমি কোন পথে হাটো?


বিজয় কাব্য!
তুমি মনে করাবে বারংবার,
সততা আর দক্ষতার প্রতীক
একজন দেশপ্রেমিকের আহবান।
তুমি যার হাতে যাবে?
তাকে মনে করিয়ে দিয়ো,
যে একত্রিত করেছে ৩শ ৬০ জন
বীরের জীবনালেখ্য তার চোখের জলের কথা।


বিজয় কাব্য!
চোখের জল মনের ভাষার কথা বলে,
চোখের জল ঠুনকোতে আসার পাত্র নয়,
চোখের জল আসে হৃদয়ের গহীন থেকে,
চোখের জল মনের মাধুরীতে ভরা
কথা কাকলীর বহি:প্রকাশ।
তাকে স্মৃতির আলিঙ্গনে কতোদিন
রাখবে এই জনপদ? এই মাতৃকার অযোগ্য
সন্তান চোখের জলের মর্ম রাখবার যোগ্য হোক তোমার সংস্পর্শে।


বিজয় কাব্য!
তুমি রোধিতে পারবে তো?
ঘুনে ধরা সমাজের আষ্টেপৃষ্ঠে ধাবমান
অনাচার।  তার চোখের জলের ভেলায় ভেসে
নিতে পারবে তো? হানাহানির এই পথের দূরত্ব।


বিজয় কাব্য!
তাকে ক’জন চিনেছে; জানতে পেরেছে?
ভুলোভুলির এই ময়দানে।
না জানুক, তাতেই বা কি?
সূর্যতো আলো বিলোবেই।


ভালো থাকো হে রবি!
ঘুনে ধরা এই জনপদের দীপ্তমান জ্যোতি হয়ে।