বুভুক্ষু মানুষগুলো বড় অসহায় আজ।
প্রতিবাদের সকল ভাষা অযোগ্য তাদের।
প্রতিবাদী পথ গুলো সংকীর্ণ।
কালা কানুন শুধু অধিকার বঞ্চিতই করেনি,
গহীণ অন্ধকারে ডুবিয়ে প্রায় অন্ধ করেছে এ জাতিকে।
শরীরে বেধেছে জীর্ণতার বাসা।
মাঝে মাঝেই নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখে
কখনও অর্থাভাব, কখনও সম্মান বোধের দায় নিয়ে।
ওদের বুভুক্ষুতায় পরিচয় দেবার মতো এতটুকু আছে
যে “আমি হতভাগ্য বাংলাদেশী”।
আমার হাত আছে-কাজ নেই,
কাজ আছে-মাইনে নেই।
পা আছে-চলার পথ নেই
পথ আছে-সুপথ নেই।
তবুও আমি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি।
জানি না প্রজা নাকি নাগরিক ?
প্রজার নয় নাগরিকতা সনদ পাই
নাগরিক হিসেবে সব পাওনা দেই
কিন্তু নাগরিক অধিকার বলতে কি পাই ?
এটা জানতে চাওয়া যাবে না
আমার অধিকারের কথা বলা যাবে না
আমার পাওনা চাইতে পারবো না
তবে হয়ে যাবো রাষ্ট্রদ্রোহী।
আমি সরকার বিরোধী
আমিতো সরকারের সমালোচনাই করবো
আমার সকল কিছু দিয়েই তো চাইবো নির্বাচনে
হেরে যাক আমার প্রতিপক্ষ দল।
তাতেই আমি হয়ে গেলাম রাষ্ট্রদ্রোহী।
সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কোনো তদন্ত ছাড়াই আমার
নামে থানায় থানায় মামলা হবে।
শুধু সরকারের চামচামী মার্কা অভিযোগ হলেই হলো।
পুলিশ খুঁজবে।
আমাকে নাকি মাটির অতল থেকেও বের করে আনবে
আমি সরকারের সমালোচক বলে।
অথচ খুনি, ব্যাংক ডাকাত, দূর্নীতিবাজ
ওদের সাথে হরহামেশাই চলবে তাদের বৈঠক।
ধরার জন্য খুঁজবে না পুলিশ কিংবা আইনের অন্য কোনো রক্ষক।