অবশেষে অন্তর্ধান হলো অভিমানের সুর,
নিমজ্জিত হলো অকুল পাথারে
আবেগিক আয়োজন।
শত শত দিন পর পাওয়া হলো মুখোমুখির স্বাদ
তবুও রয়ে গেলো অতৃপ্ততার চাদর।
মধ্য গগন ছেড়ে হেলে পড়া সূর্য বিকিরণ
করার পরও কোনো আলো মিললো না হৃদয়ের গহীনে।
ক্ষণ পরেই গর্জন করে জানিয়ে দিলো সব
আয়োজন বৃথা, বৃথা সব আয়োজন।
বৃষ্টির মূর্ছনা ভরা সময়ের ফাঁকে
অপ্রত্যাশিত কথন, অন্তরে আবৃত করে হৃদয়ের টান।
ঘুরে ফিরেই ঘনিভুত হয়ে আসে
শত শত দিন পর মুখোমুখির বাস্তবতা।
হারানো দিনের স্মৃতি গুলোর পাতা খুঁজে
অযথাই কাল ক্ষেপনে প্রলেপ নয় তো ?
সে যাই হোক- এমন বাস্তবতা সত্যিই অপ্রত্যাশিত
সময়ের সমিকরণে।
করোনার প্রভাব মুক্ত জীবনের সান্নিধ্যে
ভুলে গেলাম মূর্তিমান্‌ অতীত।
মুখোমুখি তো বটে অতৃপ্ততার সঙ্গে আলিঙ্গণে
গন্তব্য যেনো সরে গেলো আরো ক্রশ ক্রশ দূরে।
পথ ধরে এগুবার ভঙ্গিই জানান দিয়ে গেছে
ভীরুতায় আচ্ছন্ন, কেতন উড়াতে তুমি অপারগ।
কোন ভাষায় ক’টা কথা হলো
ঠিক স্মৃতিতে নেই,
আবারো বুঝি ধেয়ে আসছে অতীতের সেই কাল বোশেখী ঝড়।
তোমায় কি কখনই আচ্ছন্ন করে না আবেগের কোনো দরাজ ?
নাকি সেই দরাজ বন্ধ করো নিঃশব্দে।