মনের বাসনা নিয়ে পূজারী
দেবতার সামনে বসি,
চোখের জল ফেলিয়া সেথায়
কাটায় দিবানিশি।
পূরণ তবু না হয় বাসনা
ব্যাকুলতা বাড়ে ক্ষণে ক্ষণে,
তবুও পূজারী আশা ছাড়ে না
সংশয়হীন মনে।
এমনি করিয়া মশগুল পূজায়
কাঁদিয়া কাটায় রাতদিন,
হলো না পাওয়া চাওয়া মতো তার
বৃথাই গেলো রাত ঘুমহীন।
সহসা মনে জাগিলো তার
নির্জীবের পূজা ছেড়ে,
কাঁদিবো আমি চিরঞ্জীব স্রষ্টার কাছে
বসিয়া নির্জীব দেবতার ঘরে।
এই ভাবনায় তখন মূর্তি পূজারী
কাঁদিয়া স্রষ্টারে কয়,
ওগো পরওয়ার দুনিয়া মালিক
মোর চাওয়া জানো নিশ্চয়।
মনেতে তাহার খুশির জোয়ার
ছলাৎ ছলাৎ করে,
পূর্ণ তাহার হয়েছে চাওয়া
শেষে ফিরিয়া গেলো ঘরে।
পূজারীর পাওয়ার পূর্ণতা শুনে
দরবেশ ভাবে হায়,
মূর্তীর ঘরে স্রষ্টাকে ডেকে
কেমনে পূর্ণতা পায়?
নিশির খাবে জানিলো দরবেশ
স্রষ্টা শুধু মসজিদেতে নয়,
চিরঞ্জীব তিনি ক্ষমতা তাহার আছে সর্বময়।
যেখানেই ডাকুক ডাকিছে আমায়
করিয়া আত্মসমর্পণ,
তবুও নিরব থাকিলে আমি
নির্জীব চিরঞ্জীবের থাকেনা ব্যবধান।
নিজের ভুল বুঝিলো দরবেশ
চাইলো ক্ষমা হাত তুলে,
পূজারীর বাসনা হলো পূরন দরবেশের ক্ষমা
উভয়ের চোখের জলে।