অবিরল;
বাদল জলসায় কুহক জড়ায়ে বাজাতেছে বেণুজল।
ঘন নীরদে ফোয়ারা আসিলো ঢাকিলো কো চঁন্দ্র
কভু চিকন আঁকিয়া অম্বরে আজি ডাকিতেছে মন্দ্র
পরিত্যক্ত বুজিয়াছে আজি গো সলিলে তাহার রন্ধ্র
মৃত্তিকা চুমি আজি নাঁচন করোনি জড়ায়ে কো পদমল?

মধুকর;
সাথে বৃষ্টিতে ভিজে লুকায়েছে ঘরে জালালি কবুতর।
অধিক সান্দ্রে নড়বড়ে আজি হইয়াছে তরু মূল
সিক্ত তোমায় হেরিতে পারিনি ইহা বটে বড় ভুল
তবুও তো দেখিয়াছি আজি ভেজা ভেজা বহু ফুল
পাপড়ি বুঝি গো বুঝাতেছে মোরে ইহা তার ও অধর।

উত্তরীয়;
আমার মতন দৃঢ় করে তারে তুমি বক্ষে বাধিয়া নিও।
শিক্ষা লও হতে বাদলের বিন্দু স্নেহ
আশা করি আছে জেনো তার লাগি কেহ
স্নেহ ভালোবেসে হবে ভরিতে গেহ
আমোদের সাথে সিক্ত পায়ে,তুমি মোরে স্মরিও।

কতক্ষণ;
মোর মোহে তুমি এই বৃষ্টির সাথে করিবে বক্ষে নাঁচন?
দেখিতেছি ভ্রমি কল্পজগতে উড়িয়া যেতেছে বক
সায়াহ্ন লগনে মাঠে-প্রান্তরে লোক হতেছে অলখ
মধুলোচনে সিক্তকায়ায় তুমি হেরিতেছো অপলক
ধরিতে যাবো কী পিছল স্বপন ধ্বসিয়া দিলে গো মন।

আঁধার;
নামিয়া আসিলো মাথার উপরে ক্ষান্ত হইবে কবে আর?
যাও হেরি প্রিয়া এবার কক্ষে হোথা
সেড়ে নাও দ্রুত,আছে আজি কথা
এই যে বাদলের দিনে প্রণয়ই প্রথা
কখন সে তা আজিকে পরিপাটি পূর্ণ হলো গো তার।

কথা;
নহে গো শোনো মাথা-খাওয়া আর নহে গো অযথা।
বৃষ্টি স্নিগ্ধা সুযোগ করিয়া দিলো গো আসি
বলিবার বহু কথা নিয়ে তার সুরেলা বাঁশি
আখি মুদো আর কর্ণ ধরো বলি ভালোবাসি
থাক!কে বা এই অধম,দিতে চাহিনা কো এই সূখে ব্যাথা।