শুরু প্রভাতের পর নব দুপুরের ক্ষণ
দীপ্ত রৌদ্রময়ী;মোহিত করিয়াছে মুদিত নয়ন।
ওপারে জ্বলিত ভানুর আগুনে গাছের পাতায়
কে দেয় দুলহ দোল
ওরে যা চলি নিদ্রা,তন্দ্রা ভাঙিয়া আখি খোল।
বিলোল অলকে দাঁড়ায়ে কে যে
মেঘ ঘনাইছে অম্বরে,বাজ উঠিলো বেজে।
আমার লোচন ক্লান্ত হয়েছে,স্বচ্ছ দেখিতে পায় না
কেহ সূর্য্যের পর তীর্যক করি,ধর দেখি ভাই আয়না।
ঐ সুর্য্যালোক পরিয়া চোখে
ভাঙুক নিদ্রা মোর,দেখি তাহাকে
কালো নীরদেই ঢাকিলো আকাশ,কেহ সূরযে ইন্ধন ঢাল
দিবালোকে হেরি তাহারে,পরে ঘুমে হই বা তালমাতাল।
ওরে থাম রে মৃদু বাতাশ,
তোর পরশে ঘুমন্ত চোখ হতেছে হতাশ!
হতাশায় যদি বন্ধ করিয়া ঘুমায়ে পরিলো সে
দেখিতে পাবোনা,যদি শিহরে ঘুরে যায় পরী এসে।
ওরে উদাস নিদ্রা মোর,কে এক সম্মূখে দাঁড়ায়ে আছে,
ঘুমের চোটে করিতে পারিনা খেয়াল
আমার সম্মূখে গড়িয়াছে যেন উচ্চ দেয়াল
কুজনে নৃত্যে তাহারে লভিয়া পক্ষি মাতিলো গাছে।
প্রচ্ছন্নতা;
নারি অনাবিল হেরিতে তন্দ্রালু আমি “তন্বীরুপিনী অনন্যতা।”
বাদল গড়ায়ে ঘন বাদলে আর্দ্র হইলো দেশ
ইহারই হেতু আমার নিদ্রা জাপিয়া বসিলো বেশ।
ঘুমকাতুরের ঘুমের লাগি,
কামিনী হেরিতে নারি
কত ক্লিষ্ট কত অভাগী
কত সুন্দর হতে হারি।
এই দুষ্ট আবহ থাকিতো না যদি-
ঐ রুপিনীর দৃশ্য আমি দেখিতাম নিরবধি।
বাদল ক্লান্ত বহমান দিনে
রৌদ্র ফের ফিরিলো সেই
আমার নিদ্রা টুটিয়া গিয়াছে
অথচ মেয়েটি সামনে নেই।
শুরু প্রভাতের পর মৃত বিকেলের ক্ষণ
ক্লান্ত রৌদ্রময়ী;নিদ নাই চোখে,নাই স্বচ্ছ দেখার ধন।