কেমন করিয়া প্রিয়া
লোহা জিঞ্জিরে বাঁধা প্রাণখানি চলিল তোমারে নিয়া।
স্বেচ্ছাবিহীন অঙ্গানু হায় তোমায় যখনই পায়
পিঞ্জর ভাঙি বাহির হইতে অবিরল আঁচড়ায়
স্নায়ূ সবগুলি কর্ম ভুলিয়া দৃষ্টি ছাড়িতে চায়
অবাধ্যতায় কেমন করিয়া তোমাকে ছাড়িবে হিয়া?

রাখিবো তোমাকে ধরে
আমার হৃদয়ে স্বর্ণ হইয়া,তারে সাজাবে মিষ্টি করে।
তোমার চোখের দৃষ্টি দিয়া রাঙাবে তাহার দেহ
ক্ষিপ্ত দৃষ্টে শাষণ দানিবে দানিবে কখনও স্নেহ
চুম্বন সুধা সুগন্ধি করিয়া ভরিবে হৃদয় গেহ
অমিত শোভিত পরাণ হবে,রাখিবো তোমাকে ধরে।

তোমায় রাখিবো কোথা?
গোলাপ পাপড়ি ঘিরিয়া মাঝে পুষ্পাক্ষের বাস যথা।
বসাবো আমার অন্তরে ওগো রাজাসন বাধি
তোমার অঙ্গ আমার অঙ্গে বাধিব চির শাদি
মোহর করিবো পরশগুলোকে আমি নিরবধি
আমার বিদ্যে-আমিত্বতায় শুধু রাখিবো তোমার কথা।

হতে চাহি সেই কবি
তুমি চঁন্দ্রের আলোক প্রদানে,হইবো নিশিথে রবি।
তোমারই আলোকে নিশিথিনীতে
ঘোর মাঘ মাসে পরিবেশ শীতে
ঘাসে নুঁয়ে আমি চিরসঙ্গীতে
ওগো আমি রচি শত গান-কবিতা,হতে চাহি সেই কবি।

তুমি আমি দোহে বসে
খুশ দিল নিয়া মনের গণিত সমাধা করিব কষে।
যদি জটিল তত্ত্ব জটিল দু-মন
কত ভর তার কত মণ-টন
পাতলা হইবে মিলি সমীকরণ
উত্তর হইবে ভালোবাসা বলি,যাবেনা গ্রন্থি খোসে।

আমার অতৃপ্ত হৃদয়
ভেবে দেখো তোমার যে নাম,তা আসিলে তৃপ্ত হয়।
তাই জপে জপে তোমার নামটি তাই
ডাকি আমি পূর্ণতা পেতে ডাকি সদাই
মদ্যের মত পান করি আর তন্ডুল মত খাই
আমারই মরম শিকল দিয়া তোমাকে বাধিয়া লয়।

হৃদয় প্রেমের বাটি
প্রণয় সুধায় ভরপুর করি,রেখো পরিপাটি।
অভিমানবৎ সব করো বন্ধ
ঊঁড়ি আমোদে আনি মহানন্দ
ফাঁকা বক্ষ ফাঁকা স্কন্ধ
আসন করিয়া তোমায় হৃদয়ে আঁটি।