করিবোনা জোর,আমায় থাকো বিভোর-
শুধু বলিবো সন্ধানে সত্য প্রেম।
যদি আমি ব্যতি কাহারে পাও,
দিলাম স্বাধীনতা তাহাতে আগাও
তাহারে নিকটে নাও, মিঠা গান গাও।
আমাতে আসিলে,খোশমেজাজে আমি কুসুম কুড়াই!
দিব কুন্তল ঢেউয়ে গুঁজে।
হবে অধিকারঘন সত্য রাত
আমার-তোমার একটি পাত
একটি পরশে দুইটি হাত-
লভিবে ভালোবাসা।
তাতে বন্ধন হবে অনন্তের,দুটি দগ্ধলৌহবৎ
মিথ্যা পতনে রবে,উঠে উছলিয়া অতিব সৎ!
কেন নয় পাপাত্মার বড় কুমতি বিনাশ?আমাদের যুঝে!
খোশমেজাজে আমি কুসুম কুড়াই,দিব কুন্তল ঢেউয়ে গুঁজে।
হে আমার প্রাণের রুচি!
তুমিই আমার প্রাণের জন্য দুর্দমনীয় শুচি।
যাহাকে দলিয়া পারায়ে না
কুট-হীনরত রটায়ে না।
শুধু পুষ্প চিরসুন্দর-সুবাসিত তুমি
হৃদ এলাকার মম,অধিকতর ভূমি।
যেমনি কৌমুদিহীন রাত্রিবাস
অন্ধকারের বিষম ত্রাস
তবুও আলো ফিরিয়া আসে,কোন সে কোন সূদুর?
বহু বহু আর বহুদূর।
তবুও তো আলো চলে এসে-
আঁধার লুকায় মুখ,যায় কী না ফেঁসে?
পাবোনা তবুও,
অন্ধকারের আলো হয়ে তুমি এসো ভালোবেসে।
কেননা অকালে তোমারে চেয়েছি।
শুনে যাও!অনেক বলার বাকি
কেন বলিবোনা বলো?ভালোবাসিয়াছি না কী?
সেদিন দুপুর বেলায়-
যেন তব দুটি চোখ মোরে দূরে ফেলিলো হেলায়।
একদিন হতে অন্যদিন-
“অক্ষি হইতে মায়ার টুকরো যেমনি ছুটিছে খসি
শিরে বন্ধনখুলি কুন্তলি হায়,তেমনি পরিছে ধসি।
সুদৃষ্টিপাত মম তরে করি,পলক ফেলিছো হায়
পঞ্জর খুলি প্রাণ যেন মোর ছুটিয়া যাইতে চায়।
তোমাতে আমাতে কথা-
প্রতি বাক্যের হাঁসিতে তাই নূর পরিতেছে যথা।”
বলিবোনা আমি ভালোবাসো ভালোবাসো
করিবোনা আমি জোর-
হারাইলে পরে তখন জানি,খুজিওনা নিশি-ভোর।
কইওনা কথা যদিও পাও
এখনি শরমে মূখ লুকাও
তখন কেমনে কহিবে কথা,জানি তব কতো দোড়।
হারাইলে পরে তখন জানি,খুজিওনা নিশি-ভোর।
সুবিবেচক! এখনই লহ বুঝে-
আমাতে আসিলে,খোশমেজাজে আমি কুসুম-কুড়াই!
দিব কুন্তল ঢেউয়ে গুঁজে।
নবপুষ্পকুঞ্জপথ পাশে-
মিষ্ট মধুর গন্ধ আসে
তাই দেখে যথা চিত্ত হাসে
যেন,আমি দেখিয়াছি তোমা।
সিন্ধুর দূর প্রান্তে যেমনি ঝাপসা ধুয়াসা করিছে কেলি
পাপ যে পূতবন্ধনরত আমাদের হেরি কহে- “এবার এলি?”
হায়,আমি যে মরিয়া যাই!
আমার তিমির পরাণে আসিবে হইয়া বিধির বর
যেমনি আঁধার অম্বরে ফোটে অপরুপা সুধাকর।
অক্ষেতে ফুটিয়া গোলাপী রাণী
তুলিয়া-খুলিয়া-ঝুলায়ে আনি
চুম্বন করি দুয়েক খানি
খুশবু ছড়ায়ে যায়।
কবরী-বক্ষে-হস্তে-পায়।
স্বর্ণলতা জড়ায়ে বাধিব,শুক্ল সুরভী ভুজে
খোশমেজাজে আমি কুসুম কুড়াই!
দিব কুন্তল ঢেউয়ে গুঁজে।
রচিবোনা মনে বদ-বদাচার
রচিবোনা আমি ত্রাস-
ফাঁসির রশি চোক্ষে আসিলে,হইবে সর্বনাশ।
“হা হা হা!”
এমনি তো মজার গল্প রচিয়া
আমোদ-প্রমোদ ধরিয়া উচিয়া
আঁখি ধারা সব সময়ে মুছিয়া-
যত ক্রন্দন-ক্রোধ করিবো করিবো নাশ-
হায়,রচিবো না আমি ত্রাস।
সেদিন বরষা বাশের পর
ঝরিছে সদ্য ঝরো ঝরো ঝর
গাঢ় নিশিথিনীতে চঁন্দ্রকর
ফেলিছে এক মনে।
সেই ক্ষণ মোর হৃদয় ভাজিয়া
তব সজল অক্ষি,আনন সাজিয়া
তব রুপরাশি ঘষিয়া মাজিয়া
খেলিছে প্রাণ সনে ।
এই বৃহৎ ধনবান ধরায়
যত ক্লেশ-পীড়া-বিচ্ছেদ-বড়াই
তোমার লোচন ভিজাইয়া ফেলিবে
তারে ধরিয়া তক্ষুনী সরাই
প্রীতি বন্ধনে বাধিয়া।
ওহে বিধির চির সুন্দরী কাজ
তুমি মোর প্রীতিতি গ্রাসিবে নাকি
সম্মূখে হেরিবে মহারাণীর তাজ?
এক মনে বসে আজো কুসুম কুড়াই
দিব বলেছি কুন্তল ঢেউয়ে গুঁজে
প্রেম যেন হায় ফুরায় ফুরায়
তোমায় পাবো কী না হায় খুজে।
তবুও ফুরিবেনা প্রেম-
সব হারানোর বেদনা,পূর্বেই চুকিয়ে এলেম।
আমি জানি-আমি মানি তোমায়
এক ক্ষণে বসে বলিবে আসি
“ওহে কবি তোমায় ভালোবাসি।”