সূয্যি ডোবেনি,তখন ত্রিমূখী বাটে
আরক্ত তপন যেন ঝলকানি কাটে
উপবেশিত আমি বিষন্ন প্রায়
তখন বসে যে স্মরি তোমায়-
“পরীদের মত করে যেন ঊড়ে যাচ্ছো চলে
বকের পৃষ্ঠে চড়ে,ও সেই দূর গগনের কোলে।
শালিকের মত করে তব বাড়ছে দাম
লুকায়ে রাখছে তাকে তরু পার্থেনিয়াম।”
ফড়িঙ পিপীলিকা যেন সম্মূখ রণে
বনগাছ কঁচুপাতা দোলে সঘনে
পথের সম্মূখে পথ চলে গেছে বক্র প্রায়
এ যে বড় চেনা! বঙ্কিম ওষ্ঠে যেন দেখছি তোমায়।
বড় বড় আমগাছ যেন আমারই মত
আসুক না কত পারে ঝড়পবন যত।
আমরা দাঁড়িয়ে রবো শুধু থির পায়
দেখে যাবো উঁচু হতে ঠিক তোমায়।
দোলে শুধু দুষ্টু ওই উঁলুঘাসেরা
ভঙ্গুর আকাশছোয়া সরুবাঁশেরা
স্থির তারা,যারা আপন মনেরই দাস
ভালোবাসা তার একান্ত অভ্যাস।
চঞ্চল্ তারা,যারা সকল প্রেম
বলে শুধু সময়েই ঢেলে দিলেম
গচ্ছিত নাই তার কিছু আপন পাতে-
থির মোর গচ্ছিত সব বেরুবে রাতে।
অন্ধকার হয়ে এলো ভাই,
চঞ্চল ছিল যারা,সব হারায়
আমি আর বড় আমগাছেরা
রাতের আহার নিয়ে যাবো গৃহ পারায়।