কৃষ্ণচূড়ার ডালে-
ঐ ঘুঘু টি নৃত্য করে দিনাতিক্রমের কালে।
গন্ধ এলায় মধুর ডালা
রঙ্গ দেখায় অচীন বালা
সঙ্গ দিতে ধরতে গেলুম প্রণয়প্রীতির শালে
কৃষ্ণচূড়ার ডালে।

তার দৃষ্টি-লোচন দোলন
আমার চিত্তে তুললো যেন বেজায় আন্দোলন।
ঐ দেখো ঐ গাছের শাখায়
বিজ্ঞ ঘুঘু জড়ায় পাখায়
পীবরকণ্ঠে কুককুরকু-মনের কণ্ঠে মিলন
তার দৃষ্টি-লোচন দোলন।

লাল ফুলের ঐ রক্তিমা তে
জীর্ণ পাখি ছটফটে আজ প্রেমপত্তর পেতে।
কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি গুলি
একেরপরে আরেকটি খুলি
গলায় জড়ায়,সুধায় ওঠে আমার সুখে মেতে
লাল ফুলের ঐ রক্তিমা তে।

দুষ্ট সর্পের আগমন
সময়-বিদ্যা ভাঙলো এসে আমার তোমার মন।
বৃক্ষটি তার তনুয় জড়ায়
শিস দেয় সে তোমার মড়ায়
জানো কী হে আশীবিষের বিষে সন্তরণ
দুষ্ট সর্পের আগমন।

দিলে ব্যথার বিদায়?
সর্প বিষের প্রলয়ে,তোমায় দেখা দায়
উড়োনা বলছি প্রণয়িনী
কৃষ্ণচূড়ার বিজয়িনী
চাচ্ছো যখন আমায় ফেলে,যাবেই তবে তাই
দিলে ব্যথার বিদায়?

কৃষ্ণচূড়ার ডালে-
কৃষ্ণচূড়া রাঙিয়েছে তার আমোদগুণের লালে
তোমার মৃত্যু সর্প বিষে
আমার মৃত্যু তাতেই মিশে
আদৌ তুমি মৃত কী না দেখবো আমার ভালে-
বোসো কৃষ্ণচূড়ার ডালে।