আদল লেগেছে আদল লেগেছে আকাশ উঠেছে রেঙে-
এই ঘোর বর্ষণে বাদলের সনে
স্মরি আমি তোমায় মনে মনে।
কার যেন ঝড়ে ঘর গিয়েছে ভেঙে,
টান পরেছে অর্থ-কড়ির রণে।
আমি বলি ভাঙুক যে যার ঘর
তবুও ওগো আমি বসে বসে
অংক শুধু মিলাই কোষে কোষে
কেমন করে পাই তোমায়।
যার ভেঙেছে ঘর,অন্য ঘরের আশায়
দিলো সে দূর পারি
তার শূণ্য ঘরে হাড়ি।
শুঁকিয়ে গেছে অনাহারে টুটি,
আমি দেখে হেসেই কুটি কুটি।
তুমি সে জন,ভেঙেছো যার ঘর-
দুঃক্ষ দেখে আমি হাঁসি,কত স্বার্থপর।
হলুমই বা,বলেছি মূখফুটি
ভালোবাসি তোমায়,হব তোমার বর।
জানো তুমি প্রিয়তমা,তোমায় বলছি শোনো-
বৃষ্টি যখন আসে ঘন ঘন,
তাকিয়ে দেখি গোলাপ গাছের দিকে-
ভাবি রঙখানি তার হয়ে গেছে ফিঁকে।
তুমি যদি থাকতে চোখটি জুড়ে
দেখতুম আমি তোমায় ঘুরে ঘুরে।
গোলাপের রঙ তাই তো দেখি কম-
তোমার রঙে তার রঙ গিয়েছে ফুরে।
এই কবিতার দাম-
অঞ্জলি ভরে তোমার সামনে করে
ধরে আমি রাখলাম।
তুলে তুমি নিও,ওগো নিও বক্ষে ভরে।
তোমারও কী মনে পরে সখী?
বাদলের দিনে,শত রুখী রুখী
এই কবির কথা বারে বারে,
মনের কোণায় কোণায়
শতেক দ্বারে দ্বারে?
আজকের কবিতাটি হেন-
কেমন কেমন যেন।
পড়তে গেলে দাঁতে দাঁত বাঁধছে জট।
তবুও আমি লিখছি অন্যরকম করে-
অলসতা মাঝে ভালোবাসা ভরে।
কেমন সেটা জানো?
পানির ভিতর অনেক দিলে-
হয় যেমনটি ঘন।
আমিও তেমন দিচ্ছি প্রণয় যত ছিল,
বাদলের দিনে তোমায় মনে পরে।
লিখবো না কো আর
বিরক্তেরও ব্যাপার।
তুমিও তো হতে পারো সখী বলো?
ছুটি আমার চাইনা নিতে একা
মনে হয় পেতুম যদি দেখা
এই বৃষ্টি সাথে তোমায় বারে বারে,
আসতে তুমি আমার দ্বারে দ্বারে।
আঁকতাম আমি মন মধ্যে রেখা-
ঘর বাধবার একটি মাত্র প্রয়াস।