সাতক্ষীরাতে বাড়ি আমার গাজীপুরে বাসা,
২৫ সালে স্বপ্ন জাগে সিলেট দেখার আশা।
ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ মাতৃভাষা দিবস,
এই দিনেতে ধার্য হলো ভ্রমণের সুবাস।
যাওয়ার পথে শাহজালালের মাজার দেখার পরে,
রওনা দিলাম ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের ধারে।
মেঘালয়ের ঐ উঁচু পাহাড় সীমানার ঐ পারে,
রংবেরঙের পাথর সেথা রোদে ঝিলমিল করে।
তারপরেতে রওনা দিলাম জাফলং এরঐ পটে,
নীল আকাশের নিচে সেথায় স্বচ্ছ পানির ঘাটে।
এইখানেতে মায়াবী ঝরনা পিয়াইন নদীর পাড়ে,
পাহাড় বেয়ে ঝরনা ধারা মুক্ত ভাবে ঝরে।
ওই পারেতে ডাউকি সেতু পাহাড় মাঝে ঝুলে,
নদীর স্রোতে সেতু নাচে পাহাড় কথা বলে।
ভারত বাংলার এই সীমানায় পর্যটনের ঢল,
গাছ গাছালি ভরা সেথায় মিষ্টি কত ফল।
চা বাগানের দৃশ্য সেতো ভোলার মতো নয়,
বসন্তেরই মিষ্টি হাওয়া ফাগুন মাসে বয়।
পাহাড় ঢালে চা বাগানে ব্যস্ত চাষি কাজে,
সন্ধ্যা হলে ঝিঁঝিঁপোকার মধুরও সুর বাজে।
ওখান থেকে রওনা দিলাম শাহ পরানের দেশে,
মাজার দেখে মন ভরিলো সিলেট ভ্রমণ এসে।
কত কিছু রইলো বাকি দেখার সময় নাই,
দেখতে গেলে সব ঘুরে ভাই বেশি সময় চাই।
আসবো ফিরে আবার আমি প্রকৃতির মায়ায়,
ভালো থেকো সিলেটবাসী এখন শুভ বিদায়।