আমি আমার আমিকে চিনি নাই,
ঈশ্বরকে কীভাবে চিনবো !
আমি আমার আমিকে বুঝি নাই,
ঈশ্বরকে কীভাবে বুঝবো !
আমার ভেতরে খেলা করে
অলৌকিক অধরা অন্তর,
আমি কখনোই তারে দেখি নাই,
ঈশ্বরকে কীভাবে দেখবো !
বুকে হাত দিয়ে কেউ কখনো বলে নি,
আমি ঈশ্বরকে দেখেছি সচক্ষে,
কখনো বলতে পারবে না,
ঈশ্বরের রূপ দেখবো এবার!
বিশ্বজগতের কতকিছুই তো দেখতে পায় না---
বায়ু দেখি নাই,
গন্ধ দেখি নাই,
ভালোবাসা দেখি নাই,
দেখি নাই কতকিছু,
শুধু অনুভব করেছি অজান্তে,
শুধু বিশ্বাস রেখেছি অস্তিত্বের রেখা দেখে,
তাই বলে যেগুলো আমরা খালি চোখে দেখতে পায় না
সেগুলো কী ভুল? সেগুলো কী মিথ্যে?
মোমবাতি জ্বলছে আমার পাশে,
কখনো ভাবি নি
কোনদিকে এটি জ্বলছে আসলে;
উত্তর-দক্ষিন, না পূর্ব-পশ্চিম।
বিধাতার রূপ হয়তো তেমনি,
সাধ্য নাই বুঝবার,
সাধ্য নাই দেখবার।
সক্রেটিস কী বলে নি "নিজেকে জানতে থাকো,"
নিজের ভেতরে ঘুমিয়ে রয়েছে পরমাত্মা,
নিজের ভেতরে ঢুকেই মানুষ
নিজেকে খুঁজেছে কাল থেকে কাল,
তবুও তো পায়নি কূলকিনারা ;
নিজেকে বুঝি না,
কী করেই বা বুঝবো ঈশ্বরকে।
যতটুকু বুঝি,
যতটুক জানি,
ঈশ্বর রয়েছে সৃষ্টির মাঝারে।
আমার আমিকে জানতে জানতে
কেটে যাবে কতকাল,
তবুও হবে না এই জানা শেষ।
ঈশ্বরকে জানতে চাওয়াটা
চিরকাল অজানাই রয়ে আছে,
শুধু বিশ্বাস করতে হয়,
অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বের জন্ম কখনো হতে পারে না,
শুধু উপলব্ধি করে নিলে হয়;
ঈশ্বর আছেই আছে
আমাদের অন্তরে অন্তরে।
এর বেশি জানতে চায় নি,
জানতে কখনো চাইবো না,
এই জানার শেষেতে
গোলকধাঁধায় পড়ে
প্রশ্ন তুলবো হঠাৎ করে
ঈশ্বর কী অলীক কল্পনা?