আকাশের কাঁধে এক শূন্য রুমাল,
রঙটা—অন্ধ আলো।
হেমাটাইট সূর্য একদিন বলেছিল—
"তুমি এখানে অতিথি, ক্যানভাস নয়।"
বেলাভূমির ধুলোতে কেউ একবার লিখেছিল
অদ্ভুত ভাষায়—"We were delivered, not born."

আমাদের চামড়ায় ছিল সময়ের প্রাচীন ভাঁজ,
যা সূর্যকে মানতে পারেনি।
তবু চোখের ভিতর রয়ে গেছে নরম গ্রহের নীল আলো,
যেখানে নদীগুলো পিঠে ব্যথা দেয় না।
এখানে কেবল—
ঘুম আসে মাধ্যাকর্ষণে বাঁধা পড়ে,
স্বপ্ন ছুটে যায়
সময় নামক এক ছায়ামানবের পায়ের ধুলো ধরে।

আমার ছায়া নেই,
তবু প্রতিটি ছায়ায় আমি থাকি—
ক্লোনড আত্মা,
ক্রনিক অস্থিরতা,
স্মৃতির কোলাহলে জন্ম নেওয়া এক নির্বাসিত অভ্যাস।
একটি মা প্রতিদিন জন্ম দেয়—
জন্মের প্রতিক্রিয়ায় মৃত এক মহাবিশ্বকে।

গর্ভ ছিল এক বহিরাগত ঘর,
যেখানে নারীর যন্ত্রণার ব্যাকরণ তৈরি হয়েছিল
মৃত্যু এবং বিষাদের যুগলপদক্ষেপে।
শিশুরা হাঁটে না,
তারা শিখে সময়কে ঠকাতে—
রাবার ফুসফুস, অ্যাপ ড্রাইভেন নিঃশ্বাস,
তবু বুকের ভিতর বাজে এক অপারাহ্নীয় সন্ধ্যা।

তোমার হাতের রেখা কি জানে—
কত ঘন্টা ব্যথায় মরে যেতে হয়
নিজের গ্রহে বেঁচে থাকার অভিনয়ে?
আমরা কি সত্যিই বেঁচে আছি?
নাকি প্রতিদিন অভিনয় করি
মৃত মানুষের অভিব্যক্তি নিয়ে?

বৃক্ষ জানে সূর্য কোন পথে হাঁটে,
তবু আমরা—
গুগলের মানচিত্রে খুঁজি অস্তিত্বের অ্যাড্রেস।
একটি প্রাণী—যার নাম "মানব",
যে খেতে জানে না পাতা বা হাওয়া,
জল ঢেলে খুঁজে বেড়ায় রসায়নের স্বাদ।

সমস্ত প্রাণের চোখে নেই presbyopia,
তাদের শ্রবণশক্তি নেমে আসে না সত্তরে।
তোমার কানের ভেতর বাজে যে শব্দ—
তা নিছক অস্তিত্ব নয়,
তা—
এক এলিয়েটিয় কনফেশন।
কেন তোমার হৃদয় জানে না
যে তুমি এক space-imported equation,
যার এক্স-ফ্যাক্টর কে জানে না তুমি নিজেও।

"পৃথিবী সুন্দর," বলেছিল এক ডাইনোসর—
পূর্বে, যখন মানুষ ছিল না।
আমরা এসেছিলাম অপ্সরার ব্যাগে করে,
বা
ডিএনএ-র স্মৃতির হার্ডড্রাইভে চুরি হয়ে।

আমি যখন আমার রক্ত দেখি,
তখন সেখানে দেখি—
ভিনগ্রহের ঘুমন্ত ভাষা।
তুমি কি দেখো?
না কি তোমার হৃদয় এখনো GPS ছাড়া
নির্দেশ চায় সূর্যের কাছ থেকে?

তুমি আমায় বলেছিলে,
"মানুষ অভ্যন্তরীন ঘড়িতে ২৫ ঘন্টার প্রাণী।"
আমি বলেছিলাম—
"তবে হয়তো এ পৃথিবী আমাদের নয়—
আমরা এসেছি এক অতিপাতাল ঘ্রাণে ভেজা ছায়া-গ্রহ থেকে,
যেখানে ব্যথা জন্মায় না,
তবে বাঁচে—সমান্তরাল এক বেদনাহীন চিরকাল।"

এখন,
তুমি যদি আকাশে তাকাও,
তুমি হয়তো দেখবে—
একটি হাত নেমে এসেছে রশ্মির মত
তোমাকে নিয়ে যেতে
তোমার ফেলে-আসা বাড়ির দিকে,
যেখানে ঘুম মানে ব্যথাহীন ভোর,
আর অস্তিত্ব মানে—
অপরিচিত এক পরিচিতি।

||এই কবিতা তুমি হয়তো একদিন পড়বে নিজেকেই খুঁজে পেতে,
যখন পৃথিবীর ঠিকানা মুছে যাবে হৃদয়ের মানচিত্র থেকে।||

《— মো. হারুন অর রশিদ》

[ This is a poem for a consciousness reprogramming era — where science meets myth, exile is native, and the body forgets its home. It's not just a poem. It's a decoding.]