ধূসর ডোবার ধারে রোদের কঙ্কাল পড়ে থাকে,
জলাভূমির কালো নিঃশ্বাসে ঢেকে যায় আকাশের ফাটল,
একটি ব্যাঙ তার সবুজ জিভের ডগায়
ধরে রাখে সময়ের নিস্তব্ধ রক্তজবা।

তারা বলে,
আমরা জলের সন্তান, বৃষ্টির গর্ভে জন্ম নেওয়া—
কিন্তু মেঘেদের গায়ে ছুঁড়ে দিই নুড়িপাথরের ঘৃণা,
আমাদের ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে পলির অন্ধকারে।

যখন রাত্রি নামে,
তখন ডোবার ঘুমহীন চোখে জ্বলে ওঠে শত শত অন্ধ চাঁদ,
তারা তাকিয়ে থাকে, আমাদের ডোবার সীমারেখা পেরিয়ে
কোনো অচেনা মহাদেশে কীভাবে ভেসে যায় আলোর নৌকা।

আমাদের কণ্ঠস্বর জলের স্রোতের মতো বেঁকে যায়,
লাফিয়ে লাফিয়ে ছুঁতে চাই আকাশের ধুলো,
কিন্তু প্রতিবারই পড়ে যাই এক পলির ঘোরলাগা অতলে,
যেখানে কাদামাটি পায়ের শেকল হয়ে যায়।

একটি ব্যাঙ তার জিভ দিয়ে লেহন করে অতীতের কঙ্কাল,
জলের নীচে থেকে তার ছায়া দেখে এক ক্লান্ত স্বপ্ন,
তারপর এক অদ্ভুত সুর তোলে—
নক্ষত্ররা অবাক হয়ে শুনতে থাকে ব্যর্থ এক জাতির গান।