এই তো পৃথিবীর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি,
একটা নক্ষত্র মুঠোয় ধরে
মনে হচ্ছে, সব প্রেম এইখানেই হারিয়ে গেছে—
নক্ষত্রের ভেতরে জমে থাকা কালো আগুনের মতো,
নিভে যেতে যেতে আলো হয়ে ওঠে।
আমি জানি, একদিন আমিও ডুবে যাবো
একটা মেঘ হয়ে, একটা রাত্রির নিঃশ্বাস হয়ে,
একটা অস্ফুট প্রেমিকের দীর্ঘশ্বাস হয়ে।
আমার অপেক্ষার প্রাচীনতম ছায়া
তোমার নিঃশব্দ করুণায় জেগে আছে—
একটা হারানো গোধূলির মতো।
জানো!
প্রেম আজকাল একটা জংধরা কার্নিশ,
যেখানে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত কবিরা
শেষ কবিতার শিরোনাম খোঁজে।
কেউ পায় না।
তুমি পাবে?
এমন যদি হতো—
আমাদের চোখের পাপড়ির নিচে
একটা নদী বয়ে যেত,
কেউ জানতো না তার উৎস,
কেউ জানতো না তার গন্তব্য—
শুধু রাতের ভেতর
সে একটা কালো কবিতা হয়ে বইতো।
এই প্রেম তো কেবল হৃদয়ের জন্য নয়,
এটা তো এক বিস্মৃত নগরের মতোন,
যেখানে ভগ্নপ্রাচীরের নিচে
প্রতিদিন জন্ম নেয়
একটা নতুন স্বপ্ন—
তারপর সে নিজেই নিজের শবযাত্রী হয়।
পারবে— ?
আমার শূন্য হাতের রেখাগুলোতে
একটা সমুদ্র এঁকে দিতে!
যেখানে ঢেউয়ের প্রতিটা ফেনায় লেখা থাকবে
আমাদের শেষতম প্রেমের স্বাক্ষর!
এমন যদি হতো—
তুমি আমার শেষ প্রেম,
আর আমি তোমার
প্রথম মৃত্যুযাত্রার সঙ্গী।