নক্ষত্রের মতো আলো, কখনো নিভে যায় না,
     কখনো হেমন্তের শেষ কুয়াশা হয়ে
পৃথিবীর বুকে মেলে দেয় বিস্মৃতির ছায়া।
            জীবনের প্রাণশক্তি—
মৃত্যুর ছদ্মবেশে বয়ে আনে নতুন সূর্যোদয়,
       যেন অনন্তের বুকে বয়ে চলা নদী,
        যার স্রোত প্রতিনিয়ত রূপান্তরে বাঁধা।

কামনা কি শুধুই শরীরের এক ক্ষণস্থায়ী স্পন্দন?
            না, সেটি প্রেমের উষ্ণতায়
            দেবত্বের অলংকার হয়ে ওঠে।
মৃত্যু কি পরিসমাপ্তি?
            না, সে তো জীবনের আরেক রূপান্তর—
গভীর গুহার ভিতর থেকে ফোটে শ্বেতপদ্মের মতন।

মানবতার ভিতর লুকিয়ে থাকা দেবতত্ত্ব
       প্রতিটি স্পন্দন, প্রতিটি নিঃশ্বাসে,
কখনো কবিতার শব্দে, কখনো এক শিশুর হাসিতে
         মিশে থাকে প্রকৃতির ছন্দ।

      দেখেছো কি সেই আগুন,
যা ভস্মে পরিণত হয়, তবু শেষ হয় না?
        শুনেছো  কি সেই সুর,
যা মিলিয়ে যায় নীরবতায়, তবু থামে না?
       এটাই শক্তির চিরন্তন রূপান্তর,
যেখানে কামনা প্রেমে, শক্তি সৃজনে,
        মানুষ দেবত্বে রূপান্তরিত হয়।

অজান্তেই আমরা সকলে সেই স্রষ্টার বংশধর,
         যার প্রতিটি রূপ, প্রতিটি স্পর্শ,
আমাদের হৃদয়ের গভীরে তৈরি করে
              অমৃতের মঞ্জুষা।