প্রথম আলো ভেজা ঘাসে হেঁটে আসা শৈশবের চঞ্চলতা—
বাঁশঝাড়ের ছায়ায় লুকোনো সেই নির্দোষ আহ্লাদ,
আকাশের ডানায় ওড়া কাঠফাটা দুপুরের কল্পকাব্য,
সেই যেখানে মাটি ভেজা, আর বুক ছিল বালির মতো নরম।
গাছের ডালে ডালে ঝোলে স্মৃতির জামা—
ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে লেখা শব্দের মতো উড়ে যায় বছর,
একদিনের ভালোবাসা, আরেকদিনের দুঃখ—
সবই মিশে যায় কুয়াশার ধুলোমাখা কোমল রঙে।
পেছনের বেঞ্চে বসে থাকা গম্ভীর মুখের পেছনে
লুকিয়ে থাকে সেই অজানা চাহনি—
যেখানে সহপাঠিনীর স্তনযুগল যেন দু’টি উষ্ণ পাহাড়,
যাদের কোল ছুঁয়ে ভালোবাসা আসত—
কিন্তু আমি বুঝতাম না তখন, বোঝার মতো বড় হইনি।
ওদের কোলে ছিল আদরের আদিগন্ত ধ্বনি,
আর আমি? আমি ছিলাম খেলনার মতো—
চুম্বনের শব্দে জেগে উঠত নিঃশব্দ নদী,
কিন্তু আমিতো তখনও ভাষা খুঁজতাম বর্ণমালায়।
আজ যখন Coffee House গানে বাজে হারিয়ে যাওয়া সময়,
Keats এর পঙ্ক্তি বাজে, “Our sweetest songs…”
আমি ভাবি— বেদনাই বুঝি আনন্দের আধার,
স্মৃতির স্তনমালা আজও গোপনে আহ্লাদে ঝরে পড়ে।
জীবনের নামই যদি হয় এই প্রতিটি মুহূর্তের হারিয়ে ফেলা,
তবে বুঝি চোখে লেগে থাকা কাঁচা অশ্রুয়েই বাঁচে প্রতিচ্ছবি।
আর এই বেদনাময় পরিধির মাঝেই রয়ে যায় অমোঘ সুখ,
যার নাম দিইনি কোনোদিন— তবুও সে আমায় ছুঁয়ে থাকে।