আশায় জনম যায় আশার নাহি শেষ,
তবুও মানুষ বেচে থাকে ফেলে কত নি:শেষ।
ছোট কাল যায় তাদের হাসতে খেলতে গিয়ে,
যৌবন যখন হাজির হয় করতে হয় বিয়ে।
ক্ষণ তার শুরু হয় সংসার কর্ম খেলা,
চিন্তায় চিন্তায় দিন যায় টের হয়না বেলা।
তখন থেকে স্বপ্ন দেখে কখন হবে মা,
কখন তাহার প্রান জুড়াবে ডাক শুনে আম্মা।
সবার মত ভাগ্য তাহার মোটেও না হলো,
এক এক করে  সাতটি বছর পুতলা নাহি পেলো।
এ ভাবেতে আরো বছর গড়িয়ে তাহার গেল,
এরই মধ‍্যে কোন পুতলা কোলে নাহি এলো।
কেউবা বলে ভাগ্যহিনী কেউবা বলে বন্ধা,
সারা জীবন ঘর তহার থাকবে শুধু আন্ধা।
আশা আকাঙ্ক্ষার ভাবনা একদিন ঘনায়ে কাছে আসে,
অনেক দিনের প্রত‍্যাশা তার চৌখের সামনে ভাসে।
আল্লাহ্ আল্লাহ্ করে একদিন ভাগ্য খুলে গেল,
সবার মুখে কালি দিয়ে পুতলা কুলে পেলো।
যত দু:খ ছিল তাহার বন্ধের মধ‍্যে ছেয়ে,
সব দু:খ তার পানি হলো পুতলা কোলে পেয়ে।
আল্লাহ্ আবার এরও মাঝে বেজার কেন রয়,
কোত্থেকে এসে বড় রোগ পুতলার আবার হয়।
দিন যায় রাত আসে থাকে শুধু স্মৃতি,
পুতলা কি থাকবে কাছে লাগে বড় ভীতি।
পুতলার জন্য সারারাত মা ঘুম ছেড়ে দেয় জাগি,
যাদুরে মোড় ভালো কর প্রভু প্রার্থনা পুতলার লাগি।
সেবার মাঝে সেবা শুধু করে তাহার মা,
ঔষধ সব সেব‍্য হয়েছে খাবার আছে যা।
বুকের মধ‍্যে জড়ায়ে বলে ওগো বাছা ধন,
কখন আমার প্রান জুড়াবি ভালো হবি কখন।
যাদুরে মোর ভালো করে দাও ওগো দয়াল প্রভু,
জীবের বদলে জীব দেব ভুল করবনা কভু।
পুতলাকে কুলে তুলে মা কত কথা ভাবে,
বালাই বালাই ভালো হবে যাদু কতদিন যাবে।
শিশুটি তার অঝোর নয়নে চৌখের জ্বল ছেড়ে,
চৌখের ইশারায় কথা কয়  বলতে নাহি পারে।
আমার জন্য কেদো না মা আমায় বিদায় দাও,
পরপারে চলছি মা গো তুমি বুঝে নাও।
চৌখের জ্বলে বুক ভাসে কাদে জ্বারে জ্বার,
বাছা তুমি যাবার বেলায় মা ডাক একবার।
দুনিয়ার মায়া ছেড়ে দিয়ে পুতলা চলে যায়,
তাহার দু:খে কাদে মায় কাদে সারা গায়।
সান্তনা দিতে বড় বোন শুধায় কাছে আসি,
তুমি আর কেদোনা বোন আমি কেমনে বাচি।
তোমার মত দু:খি বোন আমিও যে হয়েছি,
আমি এখন বেচে আছি সব ভুলে গিয়েছি।
আল্লাহ্ তোমারে আরো দিছে বুকে নাও একজন,
আমি বোন গো কাকে নেব নেই আপন জন।
কি উত্তর দেবে দু:খিনী বোনরে ভাবে বড় বোন,
ভাষা যত ছিল তাহার হয়ে গেছে খুন।