নবজাতকের মতো কেনো এতোটা
কান্নায় ভেঙেপড়ো?
নীরবে ডুকরে ওঠার মানেটাই বা কী!
কী দরকার শুধুশুধু ভারী দীর্ঘশ্বাসে নিজেকে
নিভৃতে পুড়িয়ে ফেলার-
নীলাকাশে দোল-খাওয়া ঘুড়ির মতো
সামান্য একটা জীবন হাসতে হাসতে
উড়িয়ে দিতেও তো পারতে
অথবা পাগলের মতো একালাপে
পেরুতে পারতে
গোলক-ধাঁধানো জীবনের সমস্ত সীমারেখা।


এতোটাই নিখোঁজ হও
যতোটা লীন হলে ফেরতে হয়না জীবনে।


তুমি, কেনো এতোটা কান্নায় ভেঙেপড়ো?
বেদনাবিধুর জীবনের বিষাদময় দীর্ঘিকা
ইদানীং মধ্যরাতের অবাক বিলাপে
হয়ে ওঠে এক বিভীষিকাময় বিস্তীর্ণ-সাগর;
বিষমিশ্রিত দীর্ঘশ্বাসে বিধ্বস্ত হয় সমস্ত বন-উপবন
হে আমার ব্যথিত আত্মা
তবুও
তোমার একটুও একাগ্র রোদন থামেনি,
বরং ভারী দীর্ঘশ্বাসে নিজেকে পুড়িয়ে ফেলো
খুবই নীরব নিভৃতে, যখনতখন।