মেঘেল আকাশে তাকিয়ে থেকে
খাড়া হিমাদ্রি পাহাড়ের উঁচুতে
কারো নেড়ামাথার কারিশমা যদি
দেখে থাকো,
বাঁ হাতে সাগরের রাশিরাশি
জলকণিকা; মরুবালি,
ডান হাতে সোলাইমানের সোনালি সিংহাসন,
চোখে গোলক মার্বেল, রাধাচূড়ার আবডালে
ঝলসে ওঠে যদি শঙ্খচিলের সুতীক্ষ্ণ নখর,
গোধূলির আলোমাখা রোদ, তুষারকুচিতে
রাতারাতি ঢেকে যাওয়া ইটপাথুর, পেভমেন্ট।
রোদেলা আকাশে তাকিয়ে থেকে
তোমার স্বপ্নীল আঁখি কোটরে
ফিনিক্স পাখির পোড়ে-যাওয়া ছাইডানার
সদর্পে ওড়াউড়ি, দলছুট জোনাকিপোকার
ঝলমলে মিটিমিটি আলো
ব্ল্যাকআউটের সঘন আঁধারে নিভে গেলে,
শীতোষ্ণ পৃথিবীর সমস্ত ক্ল্যাসিকাল
বাঁশরি থেকে বেজে ওঠে যদি বিমুগ্ধ পাহাড়ি সার্গম।


তাহলে সে গান অথবা সার্গমে অবাক হবার কিছু নাই—
আমি কেবল পতনের শব্দঘোরে জাগি, আবারও ঘুমাই।
২২.০৪.২০২৩