যে দিকেই পা ফেলি পতনের মর্মর ধ্বনি
বেজে ওঠে ইসরাফিলের তেজীয়ান শিঙা, সঘন আঁধার
বেয়ে মুখোমুখি দাঁড়ায় হন্তারক- রামচন্দ্র আর্যসমাজের
প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনী (অধঃপাত) আসন চেয়ে
বসেন আমারই উত্তরসূরী। আমারই অবাধ্য মহিষাসুর।
তোমার দিকে হাত বাড়ালেই দশটা আঙুল
সাইবেরিয়ার মতো হিমশৈল বরফখণ্ডে
পর্যবসিত। গোলাপের মতো
তোমার কোমল ঠোঁটে-ঠোঁট হাতে-হাত বাড়িয়ে দিলেই
ঠোঁটের কোটরে জমে ওঠে একখণ্ড বর্বর পাথর
দুবাহু বিধ্বস্ত ইস্টিমারের ডুবন্ত ভবিষ্যৎ।
যে দিকেই পা ফেলি ভূমিকম্পের ভূর্লোক কাঁপন
পায়ের তলায় পাঁচটি বুলেটের অগ্নিগোলক
কুমিরের নিয়মিত মন্থর যাতায়াত
ইঁদুর ও গর্তের পূর্বাভাস। যেদিকে তাকাই
বারুদের নগ্ন মিছিল, কারাগার থেকে কারাগার,
ডিজিটাল হাসপাতালে সুস্থ মানুষের নেংটা উল্লাস
জাতীয়তাবাদ- স্বাধীনতা আন্দোলনের ফাঁকা গুলি
পদাতিক বাহিনী, আবারও ১৯৭১-৭২।


যে দিকেই আঙুল ফেলি আপাদমস্তক
বিষিয়ে নিথর-কাতর হয় অনিশ্চিত জীবন


যে দিকেই পা ফেলি ডিনামাইটের ক্রমাগত উত্থান
সুচের অগ্রভাগে আমার রক্তাপ্লুত শার্ট। শজারুকাঁটা
সুতীক্ষ্ণ তীর ফলকের মতো গেঁথে আছে গ্রীবা  
স্বাপ্নিক মর্ত্যলোকে পুলিশের অনবরত হুইসেল।
তোমার অবর্তমানে যেদিকেই পা ফেলি
পায়ের তলায় ভিসুভিয়াস,
পাললিক নদীর মতো হাবিয়া দোজখ
জীবিত শরীরের ওপর বারংবার অন্তেষ্টিক্রিয়া।
তোমাকে ডাকলে যাত্রাপথেই লাশবাহী খাট
ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার তুখোড় ধাক্কা  
মাসের পর মাস একযোগে লাশের মিছিল।