.
ফেব্রুয়ারি আটাশ, বসে বিমানবন্দরে;
যাবো সৈয়দপুরে।
লাউঞ্জে এক রমণীর আগমন ঘটে;
দেখে বিদ্যুৎ খেলে গেল মানুষ পটে।
দেহখানার বিশাল গড়ন;
আড়ষ্ঠ তার দু'টি চরণ।
ওজন তার কমপক্ষে তিন মণ;
এসির বাতাসেও ঘামছে ভীষণ।
বয়স তার ষাটের ওপর;
পা দু'টি চাচ্ছে না, বইতে দেহের ভর।
কমপক্ষে ষাট ইঞ্চি পেটের বের;
পঞ্চাশের কম নয় নিতম্বের ঘের।
মনে নেই তার কোন ফুর্তি;
দেখে মনে হল প্রকান্ড এক গরিলা মূর্তি।
মুখ পানে চেয়ে চেনা চেনা লাগে;
মনে হলো কোথা যেন দেখেছি আগে।
খুঁজে মরি স্মৃতির অলিগলি;
সরে গেল মনের মাঝে জমানো পলি।
ফিরে গেলাম পঞ্চাশ বছর আগে;
ভার্সিটির প্রথম দিনের স্মৃতি হৃদয় জাগে।
অনিন্দ্য সুন্দরী এক অষ্টাদশী;
যেন মহাশূন্য থেকে নেমে এলো শশী।
পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি দীঘল দেহখানা;
চোখ দুটি টানা টানা।
গোলাপি ঠোঁটে মিষ্টি হাসি;
ঝরে পড়ছে মুক্তা রাশি রাশি।
গায়ের বরণ দুধে আলতা;
দীঘল হাত দু'টি মনে হয় স্বর্ণলতা।
কালো চুল নিতম্ব ছুঁয়ে যায়;
উন্নত বক্ষ মাঝ থেকে চোখ ফেরা দায়।
উন্নত নাসিকা, সুঢৌল নিতম্ব দেশ;
গোলাপি শাড়িতে মানিয়েছিল বেশ।
রূপে অনন্যা, সুন্দরী শ্রেষ্ঠার মুখে সদা হাসি;
দেখলে মনে হয় তারে ভালবাসি।
ভার্সিটির সহস্র ছেলে পিছনে ঘুরে তার;
কেহই মনের ঠিকানা পায় না আর।
শেষে বিয়ে করে এক আমলা;
এখানেই শেষ হয় ঘোরা ঘুরির মামলা।
তারপর পঞ্চাশটি বছর হয়েছে পার;
বিমানবন্দর লাউঞ্জে দেখা হল এবার।
সুন্দরী শ্রেষ্ঠার একি হয়েছে হাল?
তার রূপে ফেলেছে ছাপ, মহাকাল।
যৌবনের উর্বশী বার্ধক্য হয়েছে বাসি;
জীবন ভার বইতে না'রি, ফুরিয়েছে হাসি।
তারিখ: ০১-০৩-২০২৩ ইং;