পঁচিশ মার্চ রাতের আঁধারে নিরস্ত্র বাঙালির উপর;
চালিয়েছিল হামলা পাকিস্তানি সেনা বর্বর;
ভার্সিটি, রাইফেলস, পুলিশ হেডকোয়ার্টারে;
চালিয়েছিল হত্যাযজ্ঞ তারা নিরবিচারে।
বঙ্গবন্ধু সে রাতেই ঘোষণা করেন স্বাধীনতা;
চট্টগ্রাম বেতার থেকে হান্নান পড়েন সে বারতা।
ঘোষণায় পাকিস্তান সেনাদল, হয়ে যায় বেসামাল;
বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে করে অন্তরাল।
যদিও বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন অবরুদ্ধ;
তিনিই বাঙালির মনোবল, তার নামেই চলে যুদ্ধ।
দশই এপ্রিল একাত্তর, গঠিত হয় বিপ্লবী সরকার;
বঙ্গবন্ধু হলেন রাষ্ট্রপতি তার।
ঘরোতর যুদ্ধ চললো নয় মাস;
অবশেষে ষোলই ডিসেম্বর মুক্ত হলো আবাস।
বন্দী বঙ্গবন্ধুই ছিলেন এ যুদ্ধের প্রাণ;
তারই আহব্বানে ত্রিশ লক্ষ প্রাণ করল দান।
দেশ হলো মুক্ত, পেলাম বিজয়;
কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছাড়া আনন্দ কেমনে হয়?
পাকিস্তান মুক্তি দেয় আন্তর্জাতিক চাপের ভয়ে;
বঙ্গবন্ধুর মুক্তি খুশির বান ডাকে, বাঙালি হৃদয়ে।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ দেখে ভারাক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর মন;
শুরু হয় সংগ্রাম, বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন।
রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট হয়েছে অনেক ধ্বংস;
এগুলো ছিল গেরিলা যুদ্ধের অংশ।
দরকার পুনর্নির্মাণ, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার;
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে, বাধাগ্রস্ত হয় বারবার।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যায় সম্মুখ পানে;
দেখে ষড়যন্ত্রকারীরা পেছন থেকে আঘাত হানে।
সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী অফিসার;
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, নিয়ে তার পুরো সপরিবার।
(চলবে)