ছেলেটা কর্মরত বিদেশে শান্তি মিশনে;
অন্তরে খুঁতখুঁত শান্তি পায় না মনে;
বড় মেয়েটাও পিএইচডি অধ্যায়নরত;
স্বামী সহ বিদেশে ব্যস্ত শত।
ছোটটা শশুর বাড়ি সেও চাকরি করে;
পিতা মাতা দু’জন নিরবে কাটায় ঘরে।
নাতি নাতনি সহ হঠাৎ সবার আগমন;
এ যেন চাঁদের হাট ভরে গেল মন।
নিরব বাড়িটা মুহূর্তে হলো উচ্ছল;
আনন্দ অশ্রু হয়ে দু’চোখে এলো জল।
চারদিকে হৈচৈ রান্নার আয়োজন;
গ্রীষ্মের ছাতিফাটা রোদে দখিনা সমীরণ।
রাত জেগে গল্প দূরে গেছে রোগশোক;
চলে কথাবার্তা খুনসুটি আর জোক।
ভাই বোন একসাথে স্মৃতিচারণ;
নেই কোন প্রটোকল নেই কোন বারণ।
পিতা মাতা দেখে তাই ভরে দু’নয়ন;
আনন্দে আত্মহারা খুশিতে ভরে উঠে মন।
বাড়ি জুড়ে নাতি-নাতনির দীপ্ত পদচারণ;
খুশিতে আটখান মানছে না কারো বারণ।
এক শুনশান মৃত্যুপুরি হয়েছে উচ্ছল;
এ যেন বিয়ে বাড়ি চলছে মহা কোলাহল।
হৃদয়ের আনন্দ ভেঙেছে বাঁধ;
পূরণ হয়েছে আজি মনের লুকানো সাধ।
জীবনী শক্তি যতটুকু হয়েছিল নিঃশেষ;
রিচার্জ হয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আছে বেশ।
জীবন নদীতে উছলে উঠেছে জোয়ার;
নির্মল বাতাস অক্সিজেন অপার।
এরই নাম বোধ হয় রক্তের টান;
শীতকালে শীর্ণ নদী বুকে ডাকিল বান।
তারিখ: ২৭-০৫-২০২৫ ইং;
নিজ জীবন থেকে নেয়া এই কবিতাটি। ধন্যবাদ সবাইকে।