বেলা শেষে হল দেখা

বেলা শেষে হল দেখা
কবি
প্রকাশনী সাহিত্য কথা
প্রচ্ছদ শিল্পী সৌরভ মাহমুদ
স্বত্ব লেখক
প্রথম প্রকাশ জানুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ সংস্করণ প্রথম
বিক্রয় মূল্য ৩০০ টাকা।

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

এটা আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ। সাত ফর্মার এই বইটিতে মোট ১০০ কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতাগুলোর অধিকাংশই প্রেমের কবিতা। তবে অন্যান্য কবিতাও এই বইয়ের মধ্যে রয়েছে। কবিতাগুলো সর্ব শ্রেণীর পাঠকদের জন্য লেখা। কবিতার ভাষা সহজ-সরল ও স্পষ্ট। প্রতিটা কবিতায় একটি করে বক্তব্য আছে। আশা করি কবিতা গুলো পাঠকদের মনে সারা জাগাতে সক্ষম হবে।

ভূমিকা

আমার কথা

সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আমার ছাত্রজীবন থেকেই। বিশেষ করে কবিতার ভূতটা মাথায় চেপে বসেছিল সেই শিশুকাল থেকেই। দুর্বার সেই আকর্ষণ থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, শিশুকবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশদের কবিতা ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত পাঠ করে আসছি। এ বয়সে এসেও অনেক কবিতা মুখস্থ আছে। কবিতা পড়তে পড়তেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা জন্মে এবং আকৃষ্ট হয়ে পড়ি।
তখন থেকেই সমান তালে চলছে পদ্য ও গদ্য লেখালেখি। ছাত্র অবস্থায় স্কুল—কলেজ বার্ষিকীতে, কর্মজীবনে অফিসের পত্রিকায় কবিতা, গল্প—প্রবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। অন—লাইন, অফ—লাইন পত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নানা প্রবন্ধ ও কবিতা ছাপানোর কাজটি চলমান রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশে যৌথ গ্রন্থে বেশ কয়েকটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যৌথ গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, লতিফা কলস—২০২৩ ও ত্রিপুরকাঞ্চন, ইত্যাদি। কর্মজীবন, সংসার—জীবনের ঘানি টানতে টানতে প্রথম একক গ্রন্থ প্রকাশ পেতে উনসত্তর বছর সময় পেরিয়ে গেল। তবে, একেবারে না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হলেও মন্দ কী! হলো তো!
সবার কবিতা পড়লেও বিশেষ কাউকে অনুকরণ বা অনুসরণ করে আমি কবিতা লিখিনি। আমার কবিতাগুলো মূলত মৌলিক কবিতা। জীবনের উপলব্ধি থেকে কবিতাগুলোর সূত্রপাত হয়েছে। তারপরও যদি কার কবিতার সাথে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়, তবে তা একেবারেই কাকতালীয়।
আমার প্রথম গ্রন্থ প্রকাশের নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করেছে আমার ছেলে—মেয়ে এবং সুহৃদ বন্ধু—বান্ধব। বিশেষ করে আমার একমাত্র ছেলে সেনা কর্মকর্তা মুদ্রণের খরচ প্রদান করাতে আমার উৎসাহ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাদের সবার কাছে আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞত।
বর্তমানে আধুনিকতার নামে অনেকেই কিছু শব্দ পাশাপাশি সাজিয়ে দুর্বোধ্য বিমূর্ত কবিতার সৃষ্টি করছেন। তাদের অভিমত, কবিতার অর্থ উদ্ধার পাঠকের দায়িত্ব, কবির নয়। আমি বিশ্বাস করি, কবিতা পাঠকদের জন্য প্রণীত। কবিতায় ছন্দ ও বক্তব্য অপরিহার্য। পাঠক যদি কবিতার অর্থ উদ্ধার করতে না পারে, তবে এটা লেখার যৌক্তিকতা কোথায়? যাহোক, আমার কবিতা সাধারণ পাঠকদের জন্য লেখা। আশা করি তারা সহজেই আমার কবিতা হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন। কবিতায় সমাজ—সভ্যতা, নৈতিকতা, প্রকৃতি ও প্রেমের ছোঁয়া পাওয়া যাবে।
আমার কবিতাগুলো কতটুকু গুণগতমান অর্জন করতে পেরেছে এবং পাঠকদের মনে কতটা জায়গা করে নিতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন অনলাইন কবিতা আসরে কবিতাগুলো যথেষ্ট প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কবি, কথাসাহিত্যিক, বহুমাত্রিক লেখক ও সাহিত্য সংগঠক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ—সহ অনেকেই আমার কবিতার প্রশংসা করেন— যা আমাকে আপ্লুত ও অনুপ্রাণিত করে। মহান আল্লাহর অপার কৃপায় আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বেলা শেষে হল দেখা’ ১০০ টি কবিতা নিয়া আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। বইটি আশাকরি পাঠকদের মন আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। আমার কবিতা যদি পাঠকদের সামান্য আনন্দ দিতে পারে, তবেই আমার লেখা আমি সার্থক বলে মনে করব।
আমার যেসকল বন্ধু—বান্ধব এবং সুহৃদবৃন্দ কবিতা লেখা এবং বই প্রকাশের ব্যাপারে আমাকে সর্বোতভাবে উৎসাহ প্রদান করেছেন, তাদেরকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। প্রকাশনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কোন পরামর্শ থাকলে সেটাও জানাতে ভুলবেন না। ভালো থাকবেন সবাই। চারপাশের সবাইকে ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে আরো একবার।

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শেখ মো. খবির উদ্দিন


উৎসর্গ

যাঁরা না থাকলে আমার এ পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখা হতো না,
যাঁদের হাত ধরে আমার প্রথম পথচলা ও বেড়ে ওঠা;
যাঁদের অপরিসীম ত্যাগ—তিতিক্ষা এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়
আমি শিক্ষা দীক্ষায় আধুনিক মানুষ হতে পেরেছি;
সর্বোপরি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি;
আমার সেই মহান পিতা—মাতার স্মৃতির উদ্দেশে।