করোনা ভাইরাস একটি অণুজীব;            
                      খালি চোখে যায়না দেখা তারে।
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রাণীটি সারা দুনিয়ার,
                     লক্ষ লক্ষ মানুষ ফেলেছে মেরে।
                
চীন দেশে হয়েছিল এটার সৃষ্টি;
                     বাদুড় ছড়িয়ে দিল, নাকি মানুষ;
সৃষ্টি করে পাঠিয়েছি তারে, নানা দেশে ?
               এটা নিয়ে আছে, নানা কথার ফানুস।


এ অণুজীব সদম্ভে করছে বিচরণ,
                      সাইবেরিয়া থেকে নিউজিল্যান্ড;
এন্টার্কটিকা ছাড়া বাকী ছয় মহাদেশ,
                         চষে বেড়াচ্ছে, বাজিয়ে ব্যান্ড।


অণুজীবের কারণে হচ্ছে কোভিড-১৯;
                    মরণঘাতী ব্যাধি, মানব শ্বাসতন্ত্রে;
অতি দ্রুতই করিয়া হত্যা, অণুজীব
                    চলে যায়, অন্য দশ জনের অন্ত্রে।


এ ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছে হত্যাযজ্ঞ,
                    ছয় কোটির বেশী তাদের শিকার;
অন্যরা ভাগ্যগুনে যদিও গেছে বেঁচে,
               পঁয়ষট্টি লাখের বেশি মরেছে এবার।


১৯১৮ থেকে ২০ হয়েছিল স্প্যানিশ ফ্লু,
             পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ তাতে আক্রান্ত;
সংখ্যা যার পঞ্চাশ কোটির অধিক,
        পাঁচ থেকে দশ কোটি মেরে তারা হয় শান্ত।


এক শতাব্দী পর আবার এলো করোনা,
                ম্যালথাসের তত্ত্বের বাস্তবায়ন এটা;
নাকি সর্বশক্তিমানের একটা বারতা?
                 বলা কঠিন, মানবের পক্ষের সেটা।


সবচেয়ে শক্তিধর দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,
               পারমাণবিক ক্ষমতায় মহা বলীয়ান;
সূক্ষাতিসূক্ষ একটা পরজীবীর কাছে
              সাড়ে দশ লাখ মানুষ, দিল বিসর্জন।


শুধু মার্কিন নয়, রাশিয়া, ভারত, বৃটেন,
                  তাবত্‍ শক্তিধর দেশ, আজ বিকল;
আমদের শক্তি কম, ক্ষতিও বেশ অল্প;
              মনে হয়, সর্বশক্তিমানের ইচ্ছার ফল।


যেমন নমরুদের ধ্বংস আনে, ছোট্ট মশা,
                   আব্রাহাকে আবাবিল করে ধ্বংস;
তেমনি অণূজীব দিয়ে দিলেন তিনি শিক্ষা,
                     সকল পরাশক্তি ও তাদের বংশ।


সর্বশক্তিমানের ইঙ্গিত কি তবে এটাই?
                         যতই শক্তিশালী হোক মানুষ,
খোদার শক্তির কাছে, তা' একেবারে তুচ্ছ;
           তাই আর নয় দেরী, ফেরাও সবার হুঁশ।    
               তারিখঃ ২৫-০৮-২০২২ ইং;