গণতন্ত্র তোমাকে পাবার জন্য কত সংগ্রাম;
তুমি কি চঞ্চলা বালিকা না শুধু একটি নাম।
চুয়ান্নতে যুক্তফ্রন্ট ছিনিয়ে নিল বিজয়;
সেই বিজয় স্বাদম্ভে কেড়ে নেয়া হয়।
শুরু হলো গণতন্ত্রের নিলাম;
গণতন্ত্র হয় ক্ষমতাসীনদের হাতের গোলাম।

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ঝরেছিল রক্ত;
আসাদের রক্তেও গণতন্ত্র হয়নি শক্ত।
সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়;
গণতন্ত্র বাঙালির জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়।
হয়নি আওয়ামী লীগের  সরকার;
চাপিয়ে দেয় অন্যায্য যুদ্ধ দেশটা ছারখার।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে উদ্ধার গণতন্ত্র;
গণতন্ত্র তবে কি রক্ত ভক্ষণকারী যন্ত্র।
আবার গণতন্ত্র বাকশালের জালে বন্দী;
সমাজতন্ত্রের সাথে করতে চায় সন্ধি।
আবার রক্ত অক্ষরে লেখা হয় গণতন্ত্র;
গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চলতে থাকে ষড়যন্ত্র।

বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মম হত্যার শিকার;
রক্তের হোলি খেলা চলতে থাকে আবার।
কূ পাল্টা কূ ঝড়তে থাকে রক্ত;
জাতি হয়ে পড়ে বিভক্ত।
রক্ত ঝরে অজস্র সেনা কর্মকর্তার;
থামেনা রক্ত বক্ষ বিদীর্ণ প্রেসিডেন্ট জিয়ার।

আবার চলতে থাকে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম;
রক্ত ঝরতে থাকে অবিরাম।
নূর হোসেন ডাক্তার মিলনের রক্ত;
গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়ে ওঠে পোক্ত।
ভাবলাম গণতন্ত্রের রক্তক্ষরণ হয়েছে শেষ;
এবার নিশ্চয়ই সামনে এগিয়ে যাবে দেশ।

যে যায় লঙ্কায় তিনিই হয়ে ওঠেন রাবণ;
গণতন্ত্রের জন্য কাঁদে না তার মন।
পলাশের রঙে রাঙ্গিয়া ওঠে এক এগার;
নতুন করে শুরু হলো আবারো।  
তারপর চব্বিশ পর্যন্ত গেছে অনেক বেলা
চব্বিশে শুরু আবার রক্তের হোলিখেলা।

হে রাক্ষসী গণতন্ত্র আরো কত রক্ত দরকার;
রক্তের তৃষ্ণা কোনদিনই মিটবে না তোমার।
গণতন্ত্র তুমি কি জনতার সরকার;
নাকি মরু মরীচিকা যাত্রীর পথ ভোলাবার।
হাজার বছরেরও তুমি পথ দিলে না বলে;
যতবার ধরতে যায় তুমি সুদুরেই যাও চলে।  
তারিখ:১১-০৪-২০২৫ ইং;