সিংহের বিক্রম দেখে দেই হাততালি;
সকাল বিকাল গাধাকে দেই গালি।
সিংহের রাজকীয় চলন;
দেখলেই পুলকিত হয় হৃদয় মন।
গাধার চেহারা আর কর্কশ স্বর;
বিরক্তি এসে মন মাঝে করে ভর।
মধুবালার প্রেমে উতলা হারায় জ্ঞান;
সে হৃদয়ের রানী জানের জান।
ঘরের বউটা কালী মূর্তি বোচা নাক;
মনে হয় তিতা করলা পাট শাক।
অন্ধকারে মনে হয় প্রেতাত্মা;
ইচ্ছা করে না তারে দেই একটু পাত্তা?
তবুও তো সেই আমার সন্তানের জননী;
আমার নিশিত রাতের রমণী;
পুরো সংসার তারই ওপর নির্ভরশীল;
থাক বা না থাক মনের মিল।
মধুবালা ধরায় মনের জ্বালা;
তবু তার গলায় পরানো যায় না মালা।
কর্কশ কণ্ঠ দিবানিশি বহন করে ভার;
গাধা বিনে চলেনা সংসার।
সিংহ যায় না ছোঁয়া লাগে না কাজে;
কি হবে তার কেতাদুরস্ত সাজে?
মধুবালা নয় খেদির মায়েই আপন;
সিংহ নহে সংসারে গাধার প্রয়োজন।
তারিখ: ২৩-০৪-২০২৫ ইং;