সকাল-বিকাল-রাতে কবিতা লিখে যাই;
মনের সুখে লিখি ভাই পড়ার লোক নাই।  
সবাই ব্যস্ত আজি মোবাইল ফোন নিয়ে;
করে না সময় নষ্ট কবিতা পড়তে গিয়ে।


অনেকে মুদ্রণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তরে;
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভাসবে কবিতার সাগরে!
মিছে আশা আর ভালোবাসা শুধু সান্তনা;
তারা হয়তো ভাববে কবিতা চরম যন্ত্রণা।


থাকলে পয়সা বইমেলায় ছাপে কবিতা;
কেউ কিনে না কেউ পড়েনা ব্যর্থ সবি তা।
বাধ্য হয়ে পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়;
কবি তাকিয়ে রয় যদি দু’টো মন্তব্য পায়।


পাঠক পড়েন কিনা জানার উপায় নেই;
তবে কজন খুশি মনে সুন্দর মন্তব্য দেয়।
মন্তব্যে কবি মনে নতুন করে দেয় দোলা;
লেখেন কবি আরো কবিতা হয়ে উতলা।


ঘরে বইয়ের স্তুপ কবিতা কেহ নাহি পড়ে;
ঘরে এখন কবিতার বই শোভা বর্ধন করে।
উইরা বড় সমঝদার বই দিয়ে ভরে অন্তর;
মিলল তবু একদল পাঠক আহা কী সুন্দর!


কবিতা পড়ার পাঠক যদি না থাকে ভবে;
কবিতা লিখতে মগজে চাপ কেন তবে?
যে লেখার পাঠক উই ছাড়া আর কেহ নয়;
তা’ লিখে কেন করব নষ্ট মূল্যবান সময়?  


চারদিকে বাজিয়ে দাও লক্ষ লক্ষ ঢেঁড়া;
ঢেঁড়া দেখে দেখে লোকজন হোক ট্যাড়া।
পড়বে যে একটা কবিতা বই আগাগোড়া;
তারে উপহার দেবেন কবি সহস্র ঘোড়া।


রাজ্য নেই তাই দিতে পারিনা অর্ধ রাজ্য;
শ্যালিকা করবো দান যৌতুক পরিত্যাজ্য।
তবুও কবিতা পড়ে কবিদের করুন ধন্য;
কবি তো কবিতা লেখে পাঠকদের জন্য।

প্রতিক্ষণ করে চলছি কবিতার জয়গান;
কবিতা লেখে ভরেনা পেট ভরে শুধু প্রাণ।
যে যুগে কবির ছিল সম্মান সে যুগ বাসি;
অর্থ নেই তাই কবিদের দেখে পায় হাসি।


কবির চেয়ে বর্তমানে ভালো আছে চাষি;
ঘরের চালের খায় ভাত আছে দুটো খাসি।
কবির পেটে ভাত নাই কবিতা লিখে যায়;
এবারে জানাব কী কবিতার চির বিদায়!!
তারিখ: ২১-০৩-২০২৪ ইং;    


কবিতাটা একটু বড় হয়েছে। তবুও একবার পড়ে দেখেন না কষ্ট করে। পাইলেও পাইতে পারেন আমূল্য রতন।