.      স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী দেবী চৌধুরানী;
            মন্থনার জমিদার, ছিলেন প্রজাদের রানী।
           নীলকরদের নিপীড়ন আর ব্রিটিশ দুঃশাসন;
              করেছিলেন তিনি রণচণ্ডী মূর্তি ধারণ।
         জয়পুর যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনীর হলো পরাজয়;
         যুদ্ধে নুর উদ্দিন, ভবানী পাঠক তার সাথে রয়।


        দেবী চৌধুরানী ছিলেন প্রজাহিতৈষী জমিদার;
          রংপুর অঞ্চলে এখনো আছে বহু চিহ্ন তার।
                 প্রজার জলকষ্ট করতে নিবারণ;
               বহু দিঘি পুষ্করনী করেছেন খনন।
           এখনও তিনি জনসাধারণের মানের রানী
         স্কুল, কলেজ, বাজারের নাম দেবী চৌধুরানী।


      পরাজয়ে কালিমা লেপন করে ইংরেজদের কর্তৃত্বে;
        বিশাল বাহিনী পাঠায়, লর্ড হেস্টিংসের নেতৃত্বে।
               ঘোরতর যুদ্ধ হয়, পীরগাছা প্রান্তরে;
       যুদ্ধে দেবী চৌধুরানী রণচন্ডী মূর্তি ধারণ করে।
          ইংরেজদের ছিল আধুনিক অস্ত্র অফুরান;
      আত্মসমর্পণ করেননি দেবী, করেছেন জীবন দান।


      সারা রণক্ষেত্র খুঁজে পায়না চন্ডীকে সাথী সৈন্যগণ;
      তাইতো 'নাপাই চন্ডী' রণক্ষেত্রটির করে নামকরণ।
             সবার মনে উঠিল বাজিয়া সকরুণ সুর;
               সে থেকে গ্রামটির নাম হয় চন্ডিপুর।
        স্বাধীনতা সংগ্রামী দেবী চৌধুরানীর হয়নি মরণ;
          বৈশাখ মাসে 'নাপাই চন্ডী' মেলায় হয় স্মরণ।
                   তারিখ: ০২-০৪-২০২৩ ইং;