.        যুগে যুগে মানুষ অকাতরে প্রাণ করেছে দান;
                 তবু রেখেছে স্বাধীনতার মান।
         সৈয়দ মীর নিসার আলী তাদেরই একজন;
       দেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গ করেছেন জীবন।
         তিতা ঔষধ হাসিমুখে খেয়েছিলেন এ বীর;
                তাইতো নাম হল তার তিতুমীর।
               নীলকর আর জমিদারের অত্যাচার;
              সাধারণ মানুষের জীবন হল ছারখার।
                     গর্জে উঠলেন তিতুমীর;
              সাথে সমবেত হল হাজার হাজার বীর।


                দিলেন তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা;
        দখলে দিলেন ফরিদপুর, নদীয়া, ২৪ পরগনা।
               বারাসতের নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে
               বানালেন বাঁশের কেল্লা, রক্ত ঘামে।
           বাদশাহ তিতুমীরের উদ্যত কণ্ঠের আহ্বান;
             স্বাধীনতা যোদ্ধাদের নাচিয়া উঠিল প্রাণ।
               ইংরাজ বাহিনী কেল্লা করে আক্রমণ;
                  চলবে যুদ্ধ, নহে আত্মসমর্পণ।
                 বারাসাতের যুদ্ধে গর্জে ওঠে বীর;
              মরণপণ যুদ্ধে শহীদ হন, বীর তিতুমীর।


                ব্যক্তি তিতুমীরের হল অবসান;
          দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে স্বাধীনতার গান।
               স্বাধীনতার যোদ্ধারা অমর অক্ষয়;
                কখনই হয় না তাদের পরাজয়।
             একজন থেকে লক্ষ প্রাণের জন্ম হয়;
              অবশেষে তারা ছিনিয়ে আনে বিজয়।
              সর্বকালের সেরা বাঙালিদের আসরে;
                  তিতুমীরের স্থান এগার নম্বরে।
              তিতুমীর মিশে আছে বাঙালির মনে।
              চিরদিন থাকবে পরম শ্রদ্ধার আসনে।
                   তারিখ: ০১-০৪-২০২৩ ইং;