কে রেখেছিল নাম তোমার, কালবৈশাখী;
সার্থকনামা তুমি, হে রক্ত আঁখি।
কালো চুলে ঢেকে দাও, সারা আকাশ;
নিমেষে ধরণীরে করো আঁধার, স্তব্ধ বাতাস।
ক্ষণকাল পরে, উগ্র মূর্তি কারো ধারণ;
শোনো নাকো কারো কোন বারণ।
তুমি রানী ক্লিওপেট্রার প্রতিচ্ছবি।
মেঘ গর্জনে ঘোষিত তব, আগমন ভৈরবী;

প্রচণ্ড গতিতে স্তব্ধ প্রকৃতিতে তব আগমন;
ভেঙ্গে ফেল গাছপালা, বন।
তোমার ক্রোধ থেকে পায়না রক্ষা বাড়ি ঘর;
তুমি ধ্বংসের দেবতা শিব, মহাশক্তিধর।
সংহার মূর্তি ধারণ করে, ধ্বংস চালাও;
ক্রোধে নিশ্চিহ্ন কর, সম্মুখে যাহা পাও।
তুমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা, ক্ষমাহীন;
তুমি বাঁধনহারা, তোমার কাছে নেই কারো ঋণ।


সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা লোকালয়;
তোমার আঘাতে, মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়।
ঘরের টিন, গাছপালা আকাশে উড়াও;
আর পাখির মতো চারিদিকে ঘুরাও।
অট্টালিকা, পশুপাখি, মানুষ, ক্ষেত-খামার,
তোমার ছোবল থেকে, কারো রক্ষা নেই আর।  
রাক্ষসী, তোমায় দেখে সুরা হাতে কাঁপে সাকী।
তাইতো তোমার নাম হয়েছে, 'কালবৈশাখী'।
তারিখ: ০৩-০৫-২০২৩ ইং