নীলাঞ্জনা, শুনেছি তুমি মস্তবড় ডাক্তার;
              আলো ঝলমল চারিধার।
         সকাল বিকাল অনেক রোগীর ভীড়;
           রোগী নিয়ে থাক সদা অস্থির।
      জেনেছি, স্বামী তোমার কার্ডিয়াক সার্জন;
                মানুষটা বড়ই সজ্জন।
       সারাদিন রোগীদের হৃদয় জোড়া দেয়;
    রাতে নিশ্চয়ই ভরিয়ে দেয়, তোমারও হৃদয়।


    তোমার সন্তান দু'টো বড়ই মেধাবী আর সুশ্রী;
            আবার পড়ছে তারা ডাক্তারি।
            শুনে ভরে গেল অন্তর আত্মা;
    জানি এটাই হবে, তারাতো তোমাদেরই সত্তা।
    আমার কথা আছে কি স্মরণে, প্রিয় ডাক্তার?
            আমি পাশের বাড়ির আক্তার।
        জানি তোমার স্মৃতিশক্তি অসাধারণ;
    মনে থাকার কথা আমায়, যদি না কর ভান।


    ছোটবেলায় খেলার ছলে, তুমি বউ আমি বর;
           এ খেলায় কেটেছে কত দুপুর।
        গাছে উঠে আমি পেড়ে দিতাম কুল;
   পেয়ায়া, জলপাই, তেঁতুল, আরও কত বনফুল।
    একই ক্লাসে পড়তাম, একসাথে যেতাম স্কুল।
             আশাকরি এবার হবেনা ভুল।
                তুমি ছিলে ক্লাসের ফার্স্ট;
  আমি ক্লাসে শুধু তোমায় দেখতাম, হতাম লাস্ট।


   একদিন বোর্ডে Future লিখে শুধালেন স্যার;
            'আক্তার, উচ্চারণ কর এটার'।
   আমি থতমত খেয়ে হঠাৎ বলে উঠলাম ফুটুরি;
           ক্লাসে ফেঁটে পড়ল, হাসির ঝুড়ি।
    বলেছিল স্যার, ফুটুরি তোমার হবে আন্ধার;
        নীলার দিকে তাকানো বন্ধ কর এবার।
       লজ্জায় লাল হয়েছিল কপোল তোমার;
  সেই থেকে 'ফুটুরি আক্তার' হলো, নাম আমার।
                       (চলবে)