.
               জীবন একটা বহমান নদী ধারা;
             ছুটে চলে আপন মনে পাগল পারা।
         যত ডাকো পিছু, কিছুতেই পাবে না সাড়া;
          সাগর পানে ছুটে চলে হয়ে মাতোয়ারা।
                 শুরু হয় ঝর্ণাধারা থেকে;
          ছোট সে ধারা চলতে থাকে এঁকেবেঁকে।
                 চলার পথে বিন্দু বিন্দু জল;
             সাথে নিয়ে চলে, করে কোলাহল।
             এভাবেই ধীরে ধীরে পূর্ণতা পায়;
         বৃহৎ জলরাশি হয়ে সাগরের পানে ধায়।


       নদীর এ পথ নহে সোজা, নহে সরল রেখা;
             পথে অনেকের সাথে মেলে দেখা।
                ঘরবাড়ি বন বনানী মাঠ ঘাট;
          একাধারে ভেঙ্গে চলে সব বাঁধার কপাট।
                 প্রয়োজনে বেঁকে যায় পথ;
            তবুও কদাপী থামে না বিজয় রথ।
       কত জলাধার, খাল, নদী করে আত্মসমর্পণ;
                  তবুও ভরে না নদীর মন।
          ময়লা জঞ্জাল হাসিমুখে বুকে নেয় তুলে;
                    যাহা ছিল তার দু'কুলে।


            ভরা বর্ষায় নদীর হয় যৌবন প্রাপ্তি;
       নদীর দু'ধার বহু দূর পর্যন্ত হয়ে যায় ব্যাপ্তি।
            উন্মত্ত হয়ে ভাসিয়া নেয় চারিধার;
          ভেঙ্গে নেয় ফসলের মাঠ, নদীর পাড়।
       তবে ফসলের মাঠে ছড়িয়ে দেয় পলিমাটি;
           উর্বর পলিতে মাটি হয়ে ওঠে খাঁটি।
                 বর্ষায় নদী নিয়েছিল যা;
        ফসলের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেয় দ্বিগুন তা।
           বর্ষার প্রমত্তা নদী শীতে হয় শীর্ণকায়;
       এমনি উত্থান পতনের মাঝেই নদী গতি পায়।


          সব ময়লা জঞ্জাল ধারণ করে নিজ বুকে;
        আকণ্ঠ হলাহল করে পান, ধরণীরে রাখে সুখে।
         সবশেষে সাগরের কাছে করে আত্মসমর্পণ;
              এভাবেই পূর্ণতা পায় নদীর জীবন।
                মানব জীবনেরও এমনি ধারা;
           যৌবনে পূর্ণতা পায়, শৈশবের ঝর্ণাধারা।
            আপন আপন কর্মে মানুষ হয় মহীয়ান;
          সমাজ সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করে তার কর্মজ্ঞান।
           তারপর একদিন সাঙ্গ করে সব আয়োজন;
        মহাকালের কাছে সমর্পণ করে দেয়, নিজ জীবন।
                     তারিখ: ২৩-২-২০২৩ ইং;