বিমানবন্দর লাউঞ্জে, বিমানের জন্য অপেক্ষমাণ;
       সামনে তাকাতেই, থমকে গেল জীবন।
      চার শ' চল্লিশ ভোল্টের বিদ্যুৎ, মনে হলো,
         এ শরীরের মধ্য দিয়ে, বহিয়া গেল।
দৃষ্টি হলো স্থির, সামনে দাঁড়ানো নারী মূর্তির পাণে;
  মানুষ নাকি স্বর্গের অপ্সরী; নেমে এলো সামনে!
         কত যুগ তাকিয়ে ছিলেম, তার পাণে;
     এখন নির্ণয়ে আসছে না, তাহা মোর স্মরণে।


    দু'টি চোখে জ্বলছে তার, প্রমিথিউসের আগুন;
          যা অসুর বিনাসে, করছে গনগন।
আফ্রোদিতির প্রতিচ্ছবি, মুখে তার, উঠেছে ফুটে,
মুক্তা পড়ছে ঝরে, সদা হাসিমাখা মিষ্টি দুটি ঠোঁটে।
        শ্যাম্পু করা কাল চুল, উড়ছে বাতাসে;
      দেখে, মেঘ-বরণ চুলের কথা, মনে ভাসে।
নীল জিন্স, লাল টপ্স, হাইহিলে লাগল অসাধারণ;
৩৮"-২৮"-৩৮" দেহবল্লবে, যেন সোফিয়া লরেন।


   পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি, দীঘল লতানো দেহ তার;
      দুধে আলতা বরণে, হয়েছিলেম বিভোর।
ভাঙ্গিল ধ্যান, বিমানের চেক-ইনের ঘোষণা শুনে।
ভাবিলাম সেও যাবে, আমার সনে, একই বিমানে।
      কিন্তু হায়, তন্ন-তন্ন করে খুঁজিলাম তারে;
           টার্মিনাল আর বিমানের ভিতরে।
  আজও খুঁজে ফিরি, কোথাও মেলেনি দেখা তার;
    জানিনা কোন দিন হবে কিনা, দেখা আবার?


যদিও মুখে হয়নি কথা, বিনিময় শুধু চোখর ভাষা;
তবুতো সেই আমার প্রথম প্রেম, প্রথম ভালবাসা।
এভাবেই পাবার আগেই, হারিয়ে ফেললাম তারে;
যে ছিল সেরা সুন্দরী, সে গেল, নিঃস্ব করে মোরে।
              তারিখঃ ২০-১১-২০২২ ইং;