.
              এখন শুয়ে আছে লাশ কাটা ঘরে;
                  সম্পূর্ণ একা, রাত দ্বিপ্রহরে।
                 নিরেট দেহখানা ভয় শঙ্কাহীন;
           জীবনের কাছে আজ তার, নেই কোন ঋণ।
                স্তন আর মুখমণ্ডল তার ক্ষতবিক্ষত;
           হিংস্র প্রাণীর নখর আর দাঁতের দাগ শতশত;
                    ডান স্তানের অর্ধাংশ বিচ্ছিন্ন;
              যৌনাঙ্গ সহ সমস্ত শরীর তার ছিন্নভিন্ন।


             দরিদ্র পিতার ষোড়শী কিশোরী মাধুরী;
                     রূপে ছিল অনন্যা সুন্দরী।
               মাতা পিতা গিয়েছিল কাজের তরে;
                      সে একা ছিল নিজ ঘরে।
            ধনাঢ্য পরিবারের বখাটে ছেলে চারজন;
              তুলে নিয়ে তারে পাহাড়ে করে গমন।
            সারারাত ধরে দেহখানা কুঁডে কুঁড়ে খায়;
         প্রাণহীন দেহ তার পাহাড়ের ধারে ফেলে যায়।


            দরিদ্র ঘরে সুন্দরী হয়ে জন্মানোই অপরাধ;
               তাই স্কুল যাওয়ার পথে সাধিল বাঁধ।
            স্কুলের পথে নিত্য ছিল তাদের জ্বালাতন;
                তাইতো করতে চাইত আত্মহনন।
            এভাবেই রক্ষা করে যাচ্ছিল আব্রু তার;
                 কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না এবার।
               লম্পটের লালসার কাছে হলো বলী;
           না ফুটিতে গেল ঝড়ে, তরতাজা ফুলকলি।
                   তারিখ:২১-০২-২০২৩ ইং;