ছায়া ঘেরা, পাখি ডাকা, ওগো মোর জন্মভূমি;
মোর রাতের আকাশের, উজ্জ্বল নক্ষত্র তুমি।
শৈশব, কৈশোর আর প্রথম যৌবনে দিয়েছ ঠাঁই;
তোমার বায়ু-জল থেকে, বাঁচার শকতি পাই।


তোমার জমিন খানা, শস্য শ্যামল আর স্নেহ ভরা;
মায়া-মমতায় জড়িয়ে, একসাথে থাকি মোরা।
বর্ষায় 'শুকনীর' বিল ধুয়ে দেয়, তোমার দু'টি পা;
এখানেই জন্ম আমার, এটাই আমার সোনার গাঁ।


গাছে গাছে ফোঁটে, লাল, হলুদ, গোলাপী ফুল;
কৃষ্ণচূড়া, সোনালী, সরিষা, গোলাপ, বকুল।
ফুলের সুবাসে, চারদিক মৌ মৌ করে উঠে;
ভ্রমর কুল দলে দলে, মধু লোভে এসে জোটে।


বসন্তে সবুজ ধানের ক্ষেত, হাসি আনে ঠোঁটে
বর্ষায় শুকনীর বিল সাদা করি, শাপলা ফোঁটে।
জলে ভাসে দাহুক, বালিহাঁস, পরিযায়ী পাখি;
তাদের কলকাকলিতে, মোরা মুখরিত থাকি।


গ্রীষ্মের ছাতি ফাটা দুপুরে, আম, কাঁঠালের রস;
আর দখিনা সমিরণ, দেহমন করে তোলে সরস।
সোনালি ধানের ক্ষেত, দোলা দেয় কৃষকের মন;
নবান্নের খুশি ভরে দেয়, কৃষাণ-কৃষাণীর জীবন।


পৌষ পার্বণে সবাই মিলে, গরম পিঠা খাবার ধুম;
ভুলিয়ে দেয় হাড় কাঁপানো শীত, আর রাতের ঘুম।
প্রতি বিকালে, স্কুল মাঠে হা-ডু-ডু, ফুটবল খেলা;
বালক যুবা সবার অংশ গ্রহণে, আনন্দ দেয় মেলা।


গাঁয়ের মানুষ সবাই মিলেমিশে থাকি এক সাথে;
দুঃখ-বেদনা ভাগ করে, চলি মোরা দিনে রাতে।
হাসি-গান, আনন্দ-বেদনায় থাক ভরে, মোর মা;
তুমি আমার জন্মভূমি, আমার স্বপ্নের সোনার গাঁ।
                  তারিখঃ ১৪-০৯-২০২২ ইং;