পদ্মা সেতু! নহে শুধু একটা সেতু।
প্রতিক এটা বাঙ্গালীর সক্ষমতার।
এটা আমাদের অহংকারের; গৌরবের
বিশ্বকে আমাদের সক্ষমতা জানাবার।
সুকান্তের ভাষায়, 'সাবাস, বাংলা দেশ,
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়:
জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।'
অনিষ্টকারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়
শেখ হাসিনার অদম্য ইচ্ছা হেতু;
আওয়ামী লীগ সরকারের তত্ত্বাবধানে
আমাদের নিজস্ব অর্থে তৈরী এ সেতু।
তোমরা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি দেখেছো;
দেখেছো আইফেল টাওয়ার;
চীনের প্রাচীর আর আগ্রার তাজমহল;
দেখো স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবার।
এটা শুধুই কংক্রিটের কাঠামো নয়,
ঢাকার সাথে দক্ষিণের সেতু বন্ধন;
এর কারণে দক্ষিণ অঞ্চলের
ব্যবসা বাণিজ্যের হবে উন্নয়ন।
বঙ্গবন্ধু সেতুর কারণে যেভাবে
উত্তরবঙ্গের হয়েছে উন্নতি;
চাষী পাচ্ছে উৎপাদনের ন্যায্য মূল্য,
বেড়েছে মানুষের জীবন গতি।
আর সি সি পিলারের 'পর ইস্পাতের
সুকঠিন বর্ম দিয়ে এটার নির্মাণ;
নীচে টানেলের ভিতর দিয়ে চলে রেল
ওপরে চলে সড়ক পথের যান।
পদ্মাসেতুর যারা করেছে বিরোধিতা-
তারা দেশদ্রোহী রাজাকার;
এদেশের মাটিতে যুদ্ধ অপরাধীর মত
তাদের বিচার হওয়া দরকার।
এ দেশ রবি ঠাকুরের সোনার বাংলা,
কবি নজরুলের উন্নত মম শির,
'স্বাধীনতার সংগ্রাম - মুক্তির সংগ্রাম'
বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠে ঘোষণায় জাগে বীর।
পদ্মাসেতুর বিরোধিতাকারী বাঙ্গালীকে
শুনাই আব্দুল হাকিমের বাণী;
'যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী,
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি'।
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে
পেয়েছি মোরা স্বাধীন আবাস।
তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা এনেছেন
দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির সুবাস।
ক্ষমতায় এখন আওয়ামী লীগ
তত্ত্বাবধান সংগত কারণে তাদের;
কিন্তু সেতুর নির্মাণ খরচ দলের নয়,
নির্মাণ খরচ সবটাই মোদের।
ব্যক্তির চেয়ে দল বড়; দলের চেয়ে দেশ,
এটা রাজনীতিবিদরা বলেন;
কেন দেশের গর্ব, মোদের অহংকার,
এ সেতু নিয়ে তারা নিরাশ হলেন?
তবে কি সংকীর্ণ দলীয় পঙ্কিলে
বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মোদের রাজনীতি;
আজ কি সুবচন গেছে নির্বাসনে?
তাই ব্যক্তিই বড়, ভুলে সব রীতি?
কে করেছে? মনে না দিয়ে স্থান;
এস বলি, সবাই আমরা অংশীদার;
এ দেশ আঠার কোটি জনতার;
পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার।
১৩.০৭.২০২২ ইং