. যে করে পাপ,
সে হয় দশ পুতের বাপ;
যে করে পূণ্য,
তার ঘর পুরাটাই শূন্য।'
ছোটবেলায় দাদী নানির কাছে শোনা স্লোক;
তখন মনে হতো, এটা একটা জোক।
শেষ বয়সে এসে পেলাম তার যথার্থতা;
বুঝিনা এটা মনের ভুল, না আমাদের ব্যর্থতা।
বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্বাধীনতার শক্তি ক্ষমতায়;
অপশক্তি কিভাবে ব্যাংক লুটে টাকা নিয়ে যায়?
বাংলাদেশে ঋণ খেলাফি হার;
আই এম এফ বলে এক তৃতীয়াংশ পার।
সরকারি হিসেবে এটা প্রায় সাড়ে নয়;
নিঃসন্দেহে খবরটা শুনে মনে আসে ভয়।
জনগণের টাকা নিয়ে খেলছে যারা ছিনিমিনি;
তাদেরকে নিশ্চয়ই আমরা চিনি।
তারা কিভাবে হল এত ক্ষমতাধর?
তারা কি কোন বিশেষ শক্তির চর?
আইনে কি আছে আমাদের কোন ঘাটতি?
নাকি বাস্তবায়নে দৃষ্টি নাই বাড়তি।
দেশে বিদেশে করছে অবস্থান তারা রাজার হালে;
পাচার হচ্ছে টাকা, দেশ বাঁধা কাল জালে।
তাদের পক্ষে আছে কি কোন বিশেষ শক্তির চাপ?
সত্যিই! 'যে করে পাপ-সে হয় দশ পুতের বাপ'।
ঘুষখোর ঘুষ খেয়ে পেট করে মোটা;
তার জন্য দেশ আর জনগণের বাজে বারোটা।
আছে তার গাড়ি বাড়ি;
ব্যাংকে আছে টাকা, কারী কারী।
ড্রাগ মাফিয়া আর চরাচালানকারী;
তারা সবাই অপরাধীর ধারি।
এদের জন্য দেশ ও দশের অপার ক্ষতি;
কিছুতেই হয় না তাদের সুমতি।
তারা সমাজের মধ্যমনি, বিশাল তাদের প্রভাব;
সত্যি হল, 'যে করে পাপ-সে হয় দশ পুতের বাপ'।
আদর্শের ধারক বাহক, দরিদ্র স্কুল শিক্ষক;
নেই অর্থ, নেই তার রক্ষক।
সমাজ তারে দেয় না আসন;
সবাই ভেংচি কাটে, শুনে তার ভাষণ।
ক্ষমতার কাছে সদা থাকতে হয় ম্রিয়মাণ;
কোনই কাজে লাগে না তার, অর্জিত জ্ঞান।
এখন সাদা কাল যাহোক, টাকারই জয়-জয়কার;
না থাকলে টাকা, কেহই ধরে না ধার।
যতই থাক সৎ, টাকাই এখন অনন্য;
তাই এখন, যে করে পূণ্য-তার ঘর পুরাটাই শূন্য।'
তারিখ: ১০-০৩-২০২৩ ইং;