.      সকাল থেকে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন;
                 বারে বারে স্নান করতে চায় মন।
              দুপুর নাগাদ হঠাৎ এলো কাঙ্খিত বৃষ্টি;
                  নিমিষে ঠান্ডা হলো তামাম সৃষ্টি।
        স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে খুললাম কবিতার খাতা;
         বরষার কবিতা লিখবো বলে উল্টালাম পাতা।
           হেনকালে ঝড়ের বেগে রাধিকার আগমন;
            অঙ্গে ট্যাক্স জাতী একটা হালকা বসন।


         কাগজ কলম কেড়ে বলল, শোনো বৃষ্টির গান;
             চলো ছাদে, একসাথে করব বৃষ্টি স্নান।
                  দিতে চাইলাম তারে মৃদু বাধা;
           কোন কথাই শুনলো না, আমার প্রিয় রাধা।
                   ঝরঝর ঝরছে শ্রাবণ ধারা;
             আমরা দু'জন ছাদে ভিজছি পাগল পারা।
            বৃষ্টির সুশীতল জলে, ধুয়ে গেল সব ক্লান্তি;
               তনু মন ভরে গেল, আহা কি প্রশান্তি।


                 কতকাল ভিজেছি বৃষ্টিতে দু'জন;
                   আসছে না তা স্মরণে এখন।
            অকস্মাৎ রাধিকার পানে নিবৃষ্ট হল দৃষ্টি;
          দু'চোখ তার ডাকছে মোরে, করতে নব সৃষ্টি।
            শরীরে  সিটে গেছে পাতলা দেহ আভরণ;
                স্পষ্ট দেহের ভাঁজ করছে আমন্ত্রণ।
              কাঁধে রেখে হাত দাঁড়ালাম তার পাশ;
          দেখলাম ঠান্ডা শরীরেও দ্রুত বইছে নিঃশ্বাস।
            ছেড়ে দিল সে তার দেহভার আমার ওপর;
            কোলে নিয়ে দেহখানা এলাম গৃহ অভ্যন্তর।
                    তারিখ: ১০-০৪-২০২৩ ইং;