যৌবনের মহা পরাক্রমশালী অফিসার;
স্মৃতি রোমান্থন করে বারবার।
ছিলেন তিনি অফিসের বড় কর্তা;
আজ পাননা খুঁজে নিজ সত্তা।
হুকুমে আসতো ছুটে হাজার কর্মচারী;
  এখন একমাত্র ঠিকানা তার নিজ বাড়ি।


পরিবারেরও ছিলেন তিনি প্রধান;
অনস্বীকার্য তার অবদান।
তার কথাই শেষ কথা ছিল পরিবারে;
সবাই ঘুরত তার চারিধারে।
স্ত্রী পুত্র কন্যা শ্রদ্ধায় থাকত নত;
জীবনে বিপদবিসংবাদ সামাল দিত শত।


সময়ের পরিক্রমায় তিনি এখন বৃদ্ধ;
শরীর আগের মতো নয় ঋদ্ধ।
হুইল চেয়ার এখন তার একমাত্র সম্বল;
শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে মনোবল।  
এখন শুধুই হাহাকার;
কাজ নেই শুধু বসে থাকা আর আহার।


সময় নেই কারো দু’দন্ড বসবে তার পাশে;
সবাই নিজ কর্মে ব্যস্ততায় ভাসে।
স্ত্রী ছেলে মেয়ে বৌমা সবার আছে কর্ম;
পালন করতে হয় সংসার ধর্ম।
নাতি-নাতনিরও এতোটুকু সময় নাই;
পড়ালেখা আর মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত সবাই।


বুড়োটার নিজেকে মনে হয় বড়ই জঞ্জাল;
সংসারের অপ্রয়োজনীয় মালামাল।
মাঝে মাঝে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে অবাধ্য মন;
ফিরে পেতে চায় হারানো যৌবন।
কিন্তু হায় বিদ্রোহী চোখে জ্বলেনা আগুন;
ঝড়ে শুধু নোনা জল এরই নাম বুঝি জীবন।
তারিখ: ১২-১২-২০২৩ ইং;