হে যুবক! চাঞ্চল্য পরিহার করে চিত্ত কর স্থির;
তবেই পৌছবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে; পাবে সুখের নীড়।
এ দুনিয়ায় যারা হয়েছেন সিদ্ধ; নিজ নিজ কর্মে;
তাঁরা সবাই করেছেন কঠোর সাধনা, এ ধরাধামে।


মুহাম্মদ দশ বছর হিরা গুহায় করেছেন সাধনা;
হলেন 'রসূল'; আল্লাহ করল মঞ্জুর তার প্রাথনা।
সিদ্ধার্থ ছয় বছর বোধিবৃক্ষ তলে, করেছেন ধ্যান;
তবেই হলেন তিনি 'গৌতম বুদ্ধ' লভি বোধিজ্ঞান।


ভারতের যত মুনিঋষি সিদ্ধ হয়েছেন কর্মগুণে;
সবাই করেছেন নিরন্তন সাধনা; আপন মনে।
এ ধরা মঝে যারা গুণী, জ্ঞানী, শিল্পী, বিজ্ঞানী;
সবাই সাধক, সুদীর্ঘ সাধনা গুণেই তাঁরা সম্মানী।


সাইকেল মেকার রাইট ব্রাদারস বানালেন প্লেন;
সাধনা গুণে, চা ওয়ালা মোদি প্রধানমন্ত্রী হলেন।
অধ্যবসায়, চেষ্টা আর সাধনার কত শত যে মান;
ইতিহাস খুঁজলে দেখতে পাবে, তার লক্ষ প্রমাণ।


গোলাপ শাখে আছে কাঁটা; বিঁধে  ঝরাবে রক্ত;
তা' বলে কি গোলাপ তোলা, বন্ধ করবে ভক্ত?
মনে রেখ, সাফল্যের নেই কোন সংক্ষিপ্ত পথ;
তাই সব দ্বিধা- সংশয় ভুলে, চালাও তব রথ।


যুবক! সাধনা বিনে হয় না সিদ্ধি; যেওনা ভুলে;
তাই কলম, খাতা, বই, সরঞ্জাম লহ হাতে তুলে।
হয়তো সময় লাগবে কিছুটা; পৌঁছাতে লক্ষ্যে;
তবে এটা নিশ্চিত, সাফল্য আসবেই তব পক্ষে।
                ১৬-০৮-২০২২ ইং