শরতের মেঘমুক্ত জ্যোত্‍স্না স্নাত পূর্ণিমা রাতি;
দূর আকাশে নিভু নিভু জলছে দু'একটি বাতি।
চাঁদের জ্যোৎস্নায় ধ্রিয়মাণ নক্ষত্রের আলো;
ছাদে বসে জ্যোৎস্না দেখতে লাগছে বড় ভালো।


নীলাকাশে ভাসছে দু'একটি সাদা মেঘের ভেলা;
চাঁদের সাথে মাঝে মাঝে চলছে লুকোচুরি খেলা।
দুর থেকে ভেসে আসছে ছাতিম ফুলের তীব্র গন্ধ;
মাদকতা আনে দেহমনে চোখ দু'টি হয়ে যায় বন্ধ।


প্রকৃতি আজ সবুজের চাদরে নিজেকে ঢেকেছে;
দেখে মনে হয় শিল্পী তার নিপুণ তুলিতে এঁকেছে।
সবুজ ধান ক্ষেতে বাতাস বারে বারে দিচ্ছে দোলা;
চাষীর মন খুশিতে নাচে ভরবে বুঝি এবার গোলা।


কানায় কানায় পূর্ণ নদী বয়ে চলে ভাটির টানে;
নদীর পার মুখরিত হয় মাঝির ভাটিয়ালি গানে।
নদীর দুই ধারে কাশফুল বিছিয়েছে সাদা চাদর;
তা' দেখতে বারবার দিচ্ছে উঁকি জলের ভোঁদড়।


বিলের পানিতে ফুটেছে লাল-সাদা শাপলা-পদ্ম;
বিল যেন বাসর রাতের সাজে সেজেছে অদ্য।
বক ডাহুক বালিহাস আর নানা পরিযায়ী পাখি;
বাড়িয়েছে বিলের শোভা করছে ডাকা ডাকি।


শারদ প্রভাতে আজি ধরা সাজিছে স্নিগ্ধ সাজে;
শিউলি জবা কামিনি টগর ফুটেছে তারি মাঝে।
দোয়েল কোয়েল পাখির কলতানে মুখরিত প্রাণ;
রাখালী বাঁশির সুমিষ্ট সুরে হারিয়ে যায় এ মন।
               তারিখঃ ২১-০৯-২০২২ ইং