দেখিয়াছ পিরামিড, পাষাণের কান্না তো, শোননি;
পাথরের স্তরে স্তরে, জমাট বাঁধা রক্ত তো দেখনি।
ষাট টনের একটি পাথর, কেমনে এনেছিল তারা।
গাড়ি ছাড়া, কি ভাবে সম্ভব হয়েছিল, বহন করা?


ভাব একবার, এ পাথর খণ্ড করতে হয়েছে স্থাপন,
চার'শ একাশি ফুট উঁচুতে, অথচ ছিল না ক্রেন।
তাইতো সপ্তম আশ্চার্যের, একটি হলো পিরামিড;
যা ছিল ফেরাউন বাদশাদের, অহংকারের ভীত।


ভাবুন তো এবার, পেরেছিল কেমনে এটা, মানুষ;
সত্যি এটা করেনি কোন মানুষ, করেছে ক্রীতদাস।
সে যুগের ক্রীতদাসের পরিচয়, নহে কোন মানুষ;
মালিকের মর্জির 'পরে, বইত তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস।


লাখ ক্রীতদাস, টেনে হেছড়ে করেছিল তাহা পার;
পিছনে চাবুক হাতে নিশ্চয়ই ছিল, ফেরাউন চর।
হয় পাথর তোল, নতুবা মর, এটাই ছিল বিধান;
তাইতো বইতে হয়েছিল এ ভার, বাজি রেখে প্রাণ।


ব্যর্থতায় ঝড়েছে কত যে রক্ত, হিসাব নাহি তার;
ক্রীতদাসের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, প্রতিটা পাথর।
পাথরের নীচে পৃষ্ঠ হয়ে, রক্তে রঞ্জিত সারা দেহ;
থরথর করে কেঁপে স্তব্ধ হয়ে যায়, তাকায় না কেহ।


খোদার আরশ কেঁপে উঠে, দেখে মানবতার পতন;
ক্ষমতার মদ মত্ততায় নেচে উঠে, ফেরাউনের মন।
সপ্তম আশ্চর্যের ভিত্তি, নির্মাণশৈলী না অত্যাচার?
এ শতাব্দীর মানবতাবাদীদের কাছে, চাহি বিচার।
                     তারিখঃ ২৬-১০-২০২২ ইং;