,
বিংশ শতাব্দী নিয়েছে বিদায়;
একবিংশ শতাব্দীর এক চতুর্থাংশ যায় যায়?
সুসভ্য বলে দেই মোরা পরিচয়;
এখনও যৌতুকের কাছে মানবতার পরাজয়।
ছেলেমেয়ে দুজনকে দিয়েছেন বিধাতা;
স্নেহ মমতায় করেন মানুষ, তাদের পিতামাতা।
বড় হয় তারা, একই শিক্ষা আর খাদ্যে;
নেই কোন পার্থক্য তাদের দক্ষতা আর সাধ্যে।
এ যুগের মেয়েরাও যুক্ত নানা কর্মে;
অনেক ক্ষেত্রেই তারা রয়েছে উচ্চতর ফর্মে।
পুরুষ করে বাহ্যিক কর্ম আর উপার্জন;
নারী সেসব কাজ ছাড়াও, করে সন্তান ধারণ।
কোন্ ক্ষেত্রে আছে, নারীর অযোগ্যতা?
পুরুষ কোন বলে হতে পারে, নারীর ত্রাতা?
মহিষাসুর করে দেবতার পরাজয়;
নারীশক্তি দুর্গা অসুর নিধন করে, রক্ষা তয়।
মাতৃগর্ভে জন্ম হয়েছ তোমার;
কেমনে তুমি আজ করেছ অবজ্ঞা তাহার?
নারী ছাড়া ছিল কি বাঁচার সুযোগ;
কার সেবায় উঠেছে সেরে তোমার রোগ?
হতে পারবে কি পিতা, একা একা;
এজগতে তব সাথে, না যদি হয় নারীর দেখা!
নারী ছাড়া চলবে কি জীবন;
মাতৃস্নেহ, স্ত্রীর ভালবাসা বিনে আন্ধার ভূবন।
নারী পুরুষ বিধাতার অমূল্য দান;
দু'জনে এক হলে, পূরণ হয় বিধির বিধান।
পিতামাতা ছেড়ে তব ঘরে তার আগমন;
যৌতুক কেন, তার পিতাকে দেয়া উচিৎ পণ।
যেমন আমাদের দাদাগণ;
দাদীর পিতাকে দিয়েছিল বিশ/পঞ্চাশ টাকা পণ।
এটাই ইসলামী বিধান;
স্বামী স্ত্রীকে দেনমোহরের টাকা করবে প্রদান।
প্রিয় বর আর সম্মানী পিতামাতা;
ভুলে যাও যৌতুকের কথা, নষ্ট করোনা মাথা।
যৌতুক নহে ধর্মীয় বিধান;
দেশের আইনে অপরাধ, তাই হয়ে যাও সাবধান।
যুক্তিতেও গ্রহণযোগ্য নহে যৌতুক;
তাই অবিলম্বে বন্ধ হোক, দেশ থেকে এ কৌতুক।
যে দিল তোমায় জীবন দান;
যৌতুক চেয়ে সেই মাকে আর করোনা অপমান।
তারিখঃ ১৫-০১-২০২৩ ইং