.
'তরুণ সমাজ ভুগছে বড়ই অস্থিরতায়';
বিদগ্ধ পন্ডিতগণ দিয়েছেন রায়।
আরো বলেছেন, 'তরুণরা বড়ই বিভ্রান্ত;
কোন বিষয়েই তারা ভাবেনা আদি অন্ত।
সকল ক্ষেত্রেই তারা বড়ই বেপরোয়া;
মাঙ্গেনা কখনো কারো দোয়া।
অস্ত্র নিয়ে করছে মাস্তানি;
মরণ নেশাকে দিচ্ছে হাতছানি।
পড়ালেখায় খূবেই উদাসীন;
দিনে দিনে অবস্থা হচ্ছে বড়ই সঙ্গীন।
গ্যাছে দিন ছিল ভালো;
তরুণদের হাতে জাতির ভবিষ্যৎ হবে কালো'।
সত্যি কি এতটা ভয়াবহ আমাদের দশা!
তরুণরা কি হারিয়েছে সকল ভরসা?
ভুলিও না, অস্থিরতায় তারুণ্যের ধর্ম;
চাঞ্চল্য বিনে তারা কেমনে সাধিবে কর্ম!
অস্থিরতা, চঞ্চল্য নহে দোষনীয়;
বরং তারুণ্যের জন্য তাহা পূজনীয়।
সব যুগে পন্ডিতগণ সাধিয়াছেন এ সুর
'তারুণ্য বড়ই বেসুর'।
আমরা যখন ছিলাম তরুণ;
তখনো বলেছিল, 'উঠবে না অরুণ'।
অথচ আমাদের নেতৃত্বে দুনিয়া ও দেশ;
এগিয়ে গেছে অশেষ।
জেনারেশন গ্রাফের কারণেই আস্থাহীনতা;
বাদ সাধে তরুণের অগ্রগামী চিন্তা।
যুগে যুগে ছিল এ বাধা;
ভবিষ্যতেও রয়ে যাবে একই ধাঁধা।
তরুণের ক্ষুদ্র অংশ বখে যায়, সব জামানায়;
এটা ছিল, আছে, থাকবে, নহে হায় হায়।
তরুণরাই বদলাতে পারবে দেশ;
তাদের উপর আস্থা থাকতে হবে বেশ।
তাদের আছে শক্তি, সাহস, গভীর মনোবল;
কখনোই তারা হবেনা বিফল।
তারা সরাবে সব জঞ্জাল, তারা অকুতভয়;
আকাশ পাতাল খুঁজে ছিনিয়ে আনবে বিজয়।
তারিখঃ ০২-০৩-২০২৩ ইং;