হে সমুদ্র! বিরহী বন্ধু মোর!
কার বিরহে তুমি এমন ব্যাথাতুর?
দিবস রজনী ঝরছে লোনাজল;
বাজছে তোমার কণ্ঠে ব্যথার সুর।
আহত বাঘের মত তুমি হায়,
দিবস রজনী, করে চলেছ গর্জন;
কোথা থেকে পেলে এ ব্যথা,
কে দিয়েছিল আঘাত, ভেঙেছে মন?
চাঁদের সুন্দর মুখ, টানে কি তোমায়,
তাই কি অশান্ত হয়ে উঠ, বারে বারে?
চাঁদের সাথে মিলনে পাগলপারা,
দিনে দু'বার ফুঁসে উঠ, তারে কি ধরিবারে?
ধরণীর সব ময়লা-জঞ্জাল,
নিজ বুকের মাঝে, করেছ ধারণ;
ধরণীরে রাখিতে নির্মল, পরিস্কার,
হওনি কখনো ক্ষুব্ধ, করনি বাড়ন।
হে চির বিরহী! হে নীলকন্ঠী,
ব্যথিত হৃদয়ে আকণ্ঠ হলাহল করেছ পান;
তাই তোমার সর্বাঙ্গ আজ নীলে নীল।
তবু বুঝি চাঁদ, আসেনি ভাঙতে তব মান।
তোমার ব্যথায় ব্যথিত হয়ে,
সহস্র নদী ও বুকে করে আত্মসমর্পণ;
তব চিত্ত, তবুও হয় না শান্ত,
নাহি ভরে তবু, তব ব্যথাতুর ও মন।
হে দুর্বাসা, হে ভাঙ্গনের দেবতা,
তোমার সৈকতে বাঁধিনু বালুকার ঘর।
তোমার নীল লোনা জলের ঢেউ
নিমিষেই ভেঙে মুছে, করে দিল পর।
হে বিশাল! এ ধরনীর তিন ভাগ
করেছ গ্রাস, তবুও অপূর্ণ তব পাত্রখান;
তুমি অনাদি কাল থেকেই অশান্ত,
থাকবে অনন্তকাল, ভাঙবে না তব মান।
তারিখ: ১২-৯-২০২২